নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত এক সপ্তাহে কভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কমেছে ৭৬ শতাংশের বেশি; এ সময় শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমেছে ৪৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১১৬ জন। তবে কেউ মারা যাননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ১১৭ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৭২৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে সারাদেশে কভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। আগের সপ্তাহে সারাদেশে ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ মৃত্যু কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গেল সপ্তাহে ১ হাজার ১২৩ জনের কভিড শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহে এ সংখ্যাটি ছিল ২ হাজার ২২০ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
পরপর দুদিন শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে থাকার পর গতকাল সোমবার আবার তা তিন অঙ্ক ছাড়িয়েছে; নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত রোগীর হার আবার পেরিয়েছে ১ শতাংশের ঘর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১১ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১১৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ০৬ শতাংশ।
গত শনিবার শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ; রোববার ছিল শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। ওই দুদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬২ ও ৮২ জন।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের নিয়ে মহামারির মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৭২৫ জন। এ সময়ে দেশের কোনো জেলা থেকে করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মহামারিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১১৭ জনে রয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন এক হাজার ১৪০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭১ হাজার ৬১১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৭৩ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬১ শতাংশের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৯২৭টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৯৯টি। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৯৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।