নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৪ ঘণ্টায় কভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৫৪৩ জনের। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
তার আগের দিন সোমবার সারাদেশে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আর ৫৯৯ জন নতুন রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসেবে আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
সরকারি হিসেবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন আরও ৭০১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ২৫ হাজার ১৬৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
গত এক দিনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৪৫৬ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৬৮ শতাংশের বেশি। আর যে ১৪ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ছয়জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।
সব মিলে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০১ জন। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৭১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
বাংলাদেশে কভিডে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। গত ৩১ আগস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২৩ হাজার ১৫৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৪টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল দুই দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা আগের দিন দুই দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ; মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছয়জন বাদে চট্টগ্রাম বিভাগের চার, খুলনা বিভাগের দুই, বরিশাল বিভাগের এক ও রংপুরের বাসিন্দা ছিলেন একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ও একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
তাদের মধ্যে ১২ জন সরকারি হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।