নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাজারের বেশি কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল শনিবারের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৭ রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়।
শুক্রবার ১ হাজার ৫২ রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল। সেদিন ২ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। পরের ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৩ জন বেড়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪০। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ২৩০।
গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৮৫৪ জন রোগী। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়ার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২২ হাজার ৯৭৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৩৫১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। দেশে শনাক্তের হার এখন ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত ১০০৭ জনের মধ্যে ৭২৫ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। গত এক দিনে মারা যাওয়া চারজন ঢাকা বিভাগের, বাকি একজন চট্টগ্রাম বিভাগের। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নামে। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৬ কোটি ১৩ লাখের বেশি।