নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে দৈনিক শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা ১০ সপ্তাহ পর ১০০-এর নিচে নেমেছে; নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত রোগীর হারও নেমে এসেছে ২ শতাংশের নিচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা পাঁচ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এর আগে সর্বশেষ ১৯ আগস্ট ১০০-এর কম রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, সেদিন ৯৩ জন নতুন রোগী ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর শনিবারের চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ ১০ জুন। সেদিন ৬৪ জন নতুন রোগী মিলেছিল সারাদেশে।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে গত এক দিনে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, যা আগের দিন শুক্রবার ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ ছিল।
এর আগে গত ১১ জুন ৬ হাজার ২২৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭১ জন রোগী শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। পরদিন ১২ জুন ৫ হাজার ২৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার হয় ২ দশমিক ০৬ শতাংশ। এরপর সাড়ে চার মাস এই হার ২ শতাংশের ওপরেই ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭ জন হয়েছে।
গত এক দিনে আরও একজন মারা গেছেন করোনাভাইরাসে, তাতে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৪১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৮ জন কভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৮০ হাজার ১৪৮ জন।
নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৪১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। দেশের ৫৭টি জেলায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি গত এক দিনে। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর এবং সিলেট বিভাগে কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।
ত্রিশোর্ধ্ব যে পুরুষের মৃত্যু হয়েছে, তিনি ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৫ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬২ কোটি ৯৭ লাখ।