কভিডে শনাক্ত হার ১৪ শতাংশের নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কভিড পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার আরও কমে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৪ হাজার ৬৯২ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আগের দিন এ হার ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ ছিল। 

কভিডের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারে চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে দ্রুত। গত ১৫ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ ছাড়ায়। ২৮ জানুয়ারি তা পৌঁছায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের রেকর্ড উচ্চতায়।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ জন। গত এক দিনে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে মহামারিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ৮৩৮ জন হয়েছে।

সরকারি হিসাবে এ সময়ে সেরে উঠেছেন ১৩ হাজার ২৩৭ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৯২ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬২৬ জন। অর্থাৎ এ সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এ হিসেবে আসেনি।

জানুয়ারির শেষে সংক্রমণের হার যখন তুঙ্গে ছিল, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজারও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশে মহামারির শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশর ঘরে নেমে এসেছিল গত বছরের শেষ দিকে।

এরপর আসে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, জানুয়ারির শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ। একপর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। রোববার তা পাঁচ হাজারের নিচে নামে।

যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন দুইজন।

তাদের ১৬ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। তাদের মধ্যে টিকা নেননি ১৩৭ জনই। যার হার ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ। বাকি ৯৩ জন, অর্থাৎ ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ টিকা নিয়েছিলেন।

টিকা গ্রহণকারী ৯৩ জনের মধ্যে ২৯ জন প্রথম ডোজ, ৬৩ জন দ্বিতীয় এবং একজন বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। এদিকে যে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ১৫২ (৬৬ দশমিক ১ শতাংশ) জন। আর নারী ছিলেন ৭৮ (৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ) জন। মৃত নারীদের মধ্যে আবার দুইজন গর্ভবতী মা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০