কভিডে শনাক্ত ৩০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ১৫ দিন ধরে বাংলাদেশে কভিড রোগীর সংখ্যা বাড়লেও আগের দিনের চেয়ে তা কমেছে গতকাল শনিবার; তবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিনশ’র ওপরই রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার ৩০৪ জন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে। শুক্রবার ৪৩৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১২৯ জন কমেছে।

গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৪৭ জন কভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৭৫৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশ’র নিচে নেমে এসেছিল।

গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা ১৫ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়তে থাকে।

১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। ছয় দিনের মাথায় শুক্রবার তা ৪০০ ছাড়ায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১২২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩০৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে ২৮০ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে ১২ জন, কক্সবাজারে ৮ জন, গাজীপুরে ২ জন এবং সিরাজগঞ্জ ও সিলেটে ১ জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০