নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত এক দিনে আরও ৮১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সময়ে কভিডে মৃত্যু হয়নি কারও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৮১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ০৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ।
ছয় দিন পর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আবার এক শতাংশের ওপরে উঠে এল। গত ২৬ মার্চ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই হার এক শতাংশের নিচেই ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারির মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৮ জন হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে মোট ২৯ হাজার ১২২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৫৮ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। আর তাদের মধ্যে ৪৩ জনই ঢাকা জেলার। দেশের ৪৫ জেলায় গত এক দিনে নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৮৯৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮২ হাজার ১৯৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৮৫ জন। মারা যাওয়াদের প্রায় ৫২ শতাংশই টিকা নেননি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মার্চে মারা যাওয়াদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৪১ জন; যা ৪৮.২ শতাংশ। টিকা নেননি ৪৪ জন; যা ৫১.৮ শতাংশ। এতে বলা হয়, টিকা নেয়া এই ৪১ জনের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১১ জন, দ্বিতীয় ডোজ ২৮ জন এবং তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২ জন।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দেশে ১৩ কোটি মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। ১১ কোটির বেশি দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। এখনও হাতে পাঁচ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে এবং পাইপলাইনে আরও ছয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এখনও যারা টিকা নেননি, তারা টিকা নিলে দেশ আরও বেশি উপকৃত হবে।
