নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে কভিডে এক দিনে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২০ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর, সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ হাজার ৩৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৯০১ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৯ হাজার ৫০৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এ হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কভিড রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ২১৭ জন। অর্থাৎ এ সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন আক্রান্ত রোগীরা এ হিসাবেই আসেনি।
গত বছরের আগস্টের পর গত সোমবার প্রথমবারের মতো দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়ায়। ১৫ জানুয়ারি এ সংখ্যা ছিল ৩১ হাজারের ঘরে।
ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে এবার মৃতের সংখ্যা গত বছরের ডেল্টার প্রাদুর্ভাবের সময়ের তুলনায় কম হলেও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছায় গত ২৮ জানুয়ারি।
গতকাল নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার নেমে এসেছে ২১ দশমিক ০৭ শতাংশে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ছয় হাজার ৭২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশের বেশি। যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ, ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়জন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন দুইজন।
তাদের ২৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।