নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত দেড় বছরের মধ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর মধ্যে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন।
এর আগে ২০২০ সালের ৬ মে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন চারজনের মৃত্যু হয়। সেই হিসাবে প্রায় দেড় বছর পর সর্বনিম্ন মৃত্যুর তথ্য জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারিও মৃত্যু কম ছিল। ওইদিন পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও দুইজন নারী। চার জনেরই মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। মৃত চারজনের মধ্য পঞ্চাশোর্ধ তিনজন ও সত্তরোর্ধ্ব একজন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের দুজন, চট্টগ্রামের একজন এবং বরিশাল বিভাগের একজনের।
এ নিয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৮০৫ জনে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৩২ জন। এ নিয়ে সারাদেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৯ জনে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৩২টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে মোট নমুনার সংখ্যা এক কোটি এক লাখ ৮৮ হাজার ৬২৩টিতে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
দেশে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।