নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের হার আরও কমে এসেছে। এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে পাঁচ হাজারের ঘরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৫ হাজার ২৬৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
আগের দিন বৃহস্পতিবার ৭ হাজার ২৬৪ জন রোগী শনাক্ত এবং ৪১ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। সেই হিসাবে এক দিনের ব্যবধানে নতুন রোগীর সংখ্যা আর মৃত্যু দুটোই কমেছে বেশ খানিকটা।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশর ঘরে নেমে এসেছিল গত বছরের শেষ দিকে। এরপর আসে আরেক নতুন ধরন ওমিক্রন, নতুন বছরের শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ।
গত ১৭ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছিল। এরপর সংক্রমণ টানা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ২৮ জানুয়ারি পৌঁছায় ৩৩ শতাংশের রেকর্ড উচ্চতায়। এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। সাত দিনের মাথায় তা ৬ হাজারের নিচে নামল।
তিন সপ্তাহ পর গত বুধবার শনাক্ত রোগীর হার কমে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে নেমেছিল। গতকাল তা আরও কমে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৩ জনে। এক দিনে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ৭৭১ জন।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১১ হাজার ৩৫৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৮৭ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, রাজশাহীতে ১ জন, খুলনায় ৪ জন, বরিশালে ১ জন, সিলেটে ২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৩ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।