নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড সংক্রমণ কমার ধারায় দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগী আরও কমেছে। এক দিনে মৃতের সংখ্যা নেমে এসেছে ছয় সপ্তাহের সর্বনিন্ম পর্যায়ে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ২৯৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
এর আগে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ১২ জানুয়ারি, সেদিন চারজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে দৈনিক মৃত্যু বেড়ে চলছিল।
মঙ্গলবার ১ হাজার ৫৯৫ জনের কোভিড শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের। সে হিসাবে এক দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই কমেছে। বুধবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছে। এর আগে এর চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল ৮ জানুয়ারি, সেদিন ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ নমুনায় সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৯৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে। সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৮ হাজার ৭২ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেনি।
বাংলাদেশে মহামারির শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ডেল্টা ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশর ঘরে নেমে এসেছিল গত বছরের শেষ দিকে। এরপর আসে ওমিক্রন, নতুন বছরের শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ। একপর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তা পাঁচ হাজারের নিচে নামে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শ?নাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৮৩১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশের বেশি। যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী। তারা সবাই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ থেকে বছরের মধ্যে এবং দুইজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।