শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ কমতে শুরু করেছে চীনের সবচেয়ে বৃহৎ ও অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাই থেকে। বিধিনিষেধ শিথিল করায় স্বস্তি ফিরে এসেছে শহরের নাগরিকদের মধ্যে। খবর: সিজিটিএন।
বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে এবার আরও ৪০ লাখ মানুষকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনুমতি দিয়েছে শহরের কর্তৃপক্ষ। জনসংখ্যার নিরিখে দেশের সবচেয়ে বড় শহরটিতে আপাতত সংক্রমণে রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন।
গত সপ্তাহে সাংহাইয়ে কভিড বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে প্রশাসন। এরপর দফায় দফায় এ পর্যন্ত গৃহবন্দি এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হলো। এ হিসেবে প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষের শহরটির অর্ধেক বাসিন্দা এখনও ঘরে বন্দি।
এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উ গানইউ বলেন, শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় এই প্রথমবার কভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে
আনা গেল।
কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত মাসে সাংহাইয়ে লকডাউন ঘোষণা করে দেশটির সরকার। এর মধ্য দিয়ে মহামারির দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার শহরটিতে লকাডাউন জারি করা হয়। এর আগে কর্তৃপক্ষ জানায়, অর্থনীতির স্বার্থে এই শহর চালু রাখা জরুরি, কিন্তু নিরুপায় হয়ে লকডাউন আরোপ করা হলো।
কভিড পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যায়। একের পর এক শহরে দ্রুত বাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। সাংহাইয়ে সংক্রমিতদের আইসোলেশনে রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাব দেখা দেয়।
সাংহাইয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার সাতজনের মৃত্যু হয়। দেশের করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠা এ মহানগরে
সাম্প্রতিক কঠোর লকডাউন দেয়ার পরও ২০ হাজারের বেশি ভাইরাসবাহী মানুষ শনাক্ত হয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরবাসীকে ঘরবন্দি করে প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ হন বাসিন্দারা। আর সেই ক্ষোভের কথা মাথায় রেখেই আপাতত বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
এদিকে মহামারির কারণে চীনের অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সাংহাইসহ বড় শহরগুলোয় লকডাউনের ফলে চলতি বছর দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৮ থেকে কমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।