কামরুল হাসান ছিদ্দিকি, ফেনী: ফেনীতে কভিড-১৯ টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের সংখ্যা বেড়েছে অন্তত পাঁচগুণ।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জš§দিন উপলক্ষে সারাদেশের মতো ফেনীতেও দু’দিনব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি হয়। এ কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে টিকাপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কর্মসূচি সমাপ্তি হলেও এখনও আগের মতো প্রতিদিন টিকার জন্য ভিড় করছেন হাজারো মানুষ।
জেলার প্রধান টিকাদান কেন্দ্র ফেনী জেনারেল হাসপাতালে দৈনিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চারটি বুথে ৬০০ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও প্রতিদিন এখানে ভিড় করছেন অন্তত দুই থেকে তিন হাজার মানুষ।
ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্তমানে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকায় জেলা শহরের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলো থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ ভিড় করছেন জেলা জেনারেল হাসপাতালে। ফলে সক্ষমতার অধিক উপস্থিতির চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম পোহাতে হচ্ছে টিকাদান কেন্দ্রে দায়িত্বরত নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীদের।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের নিচে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও গ্রহীতাদের লম্বা লাইন গিয়ে ঠেকে হাসপাতালের প্রধান গেটের সড়ক পর্যন্ত। এমতাবস্থায় বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় আর তীব্র রোদে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের। অনেকে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে লাইন ছাড়ছেন। এছাড়া মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে প্রতিদিন হচ্ছে বিশৃঙ্খলা।
কভিড এড়াতে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ মেনে চলা কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার কোনো বালাই নেই টিকাগ্রহীতাদের মাঝে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
মাস্ক শোভা পাচ্ছে অনেকের থুঁতনিতে। একে অন্যের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকায় এতে কভিড সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে অধিক হারে। এদিকে সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও নির্দিষ্ট সময়ের পর টিকা না পেয়ে অনেকে ব্যক্ত করেছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে টিকাদানের দাবি জানান তারা। জেলা সিভিল সার্জন রফিক উস-ছালেহীন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জš§দিন উপলক্ষে গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য টিকাদান কেন্দ্রের চারটি বুথ ছাড়া অস্থায়ী বুথের মাধ্যমে গণটিকা দেয়া হয়েছিল। গণটিকার সময় শেষ হলেও মানুষজন এখনও ভিড় করছেন। পর্যাপ্ত টিকার বরাদ্দ থাকায় নিবন্ধিত অনেকের মেসেজ চলে এসেছে একসঙ্গে। টিকা গ্রহীতাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় টিকাদানে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা কেটে যাবে। অতিরিক্ত চাপ এড়াতে গত দু’দিন ধরে নতুন করে মেসেজ পাঠানো বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।