নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড টিকার বুস্টার ডোজ যারা নিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ২০ ডিসেম্বর তাদের চতুর্থ ডোজ দেয়া হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেয়ার পর পর্যবেক্ষণ শেষে আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখযোদ্ধা ও একাধিক রোগে ভুগছে এমন জনগোষ্ঠীকে এই ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চতুর্থ ডোজ হিসেবে দেয়া হবে ফাইজারের টিকা। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে টিকা দেয়া হবে।
বুস্টার ডোজ নিয়েছেনÑএমন ব্যক্তি চতুর্থ ডোজ নিতে পারবেন। এসএমএসের মাধ্যমে আগের দিন নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জানিয়ে দেয়া হবে টিকা নেয়ার কেন্দ্র। প্রাথমিকভাবে ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। সেগুলো হলো সচিবালয় ক্লিনিক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
পরীক্ষামূলক টিকা নেয়া ব্যক্তিদের দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়ে আহমেদুল কবীর বলেন, ‘যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোনো ধরনের জটিলতা দেখা না দিলে আমরা জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে সারাদেশে সেকেন্ড বুস্টার ডোজ দেব।’
চতুর্থ ডোজ টিকা দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার চার মাস পর থেকে শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমতে থাকে। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
কতজনকে চতুর্থ ডোজ দেয়া হবেÑএ প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘২ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। চিকিৎসক, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, গর্ভবতী নারী, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, ষাট বছরের কম বয়স কিন্তু নানা ধরনের কোমর্বিডিটি আছে তাদের টিকার আওতায় আনা হবে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা কম নয়।’ সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পরের বছর ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা দেয়া শুরু হয়।
সবশেষ গতকাল পর্যন্ত ১৪ কোটি ৮৬ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার দ্বিতীয় ডোজ এবং ৬ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজারের বেশি বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে।
