Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:34 pm

কভিড বিষয়ে সাংবাদিক ও মিডিয়া পেশাজীবীদের করণীয়

নভেল করোনাভাইরাস ও কভিড কেবল সাংবাদিক ও মিডিয়া পেশাজীবীদের জন্য নতুন নয়। সব শ্রেণিপেশার জন্যই নতুন। অনেক সময় সাধারণ মানুষের কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে হতে পারে সংবাদ কর্মীকে। তাই এ বিষয়ে প্রাথমিক ও সঠিক ধারণা নেওয়া উচিত। কভিড-১৯ হলো নভেল করোনাভাইরাস জনিত রোগ। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্ষিপ্ত রূপ এনকভ-১৯। এটি করোনাভাইরাস নামে সাধারণ্যে পরিচিত। এনকভ করোনাভাইরাসের এক নতুন প্রজাতি। এই রোগটি প্রথম চীনের উহানে চিহ্নিত হয়েছিল। তখন থেকেই রোগটির নাম করা হয়েছিল করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কভিড-১৯)। করোনা থেকে ‘কো’, ভাইরাস থেকে ‘ভি’ এবং ‘ডিজিজ’ বা ‘রোগ’ থেকে ‘ডি’ নিয়ে এর সংক্ষিপ্ত নামকরণ করা হয়। কভিড-১৯ হলো একটি নতুন ভাইরাস, যা অতীতের সার্স ভাইরাস এবং কয়েক ধরনের সাধারণ সর্দি-জ্বর জাতীয় ভাইরাসের পরিবারভুক্ত।

বাংলাদেশে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ শুরু গত মার্চ মাসে। প্রথম তিনটি সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করেছিল দেশের ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) গত ৭ মার্চ নিশ্চিত করেছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদার, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো, মিডিয়া এবং জনসাধারণকে অবহিত রেখে ভাইরাসের বিস্তার রোধে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করেছে।

সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাসতন্ত্রের ফোঁটার (কাশি এবং হাঁচির মাধ্যমে তৈরি) সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে এবং এ ভাইরাস দ্বারা দূষিত অংশ স্পর্শ করার মাধ্যমে এটি সংক্রমিত হয়। কভিড-১৯ ভাইরাস বেশ কয়েক ঘণ্টা কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে কয়েকদিন ভূপৃষ্ঠে বেঁচে থাকতে পারে, তবে সাধারণ জীবাণুনাশক এটিকে মেরে ফেলতে সক্ষম।

লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট। আরও মারাত্মক ক্ষেত্রে সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে কর্মক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হতে পারে। এ লক্ষণগুলো ফ্লু (ইনফ্লুয়েঞ্জা) বা সাধারণ সর্দিগুলোর মতো, যা কভিড-১৯-এর চেয়ে অনেক বেশি সাধারণ। এ কারণেই কারও কভিড-১৯ আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

সংক্রমণের ঝুঁকি কীভাবে এড়াতে হবে? ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে বা অ্যালকোহলয্ক্তু হাত-ধোয়ার সামগ্রী ব্যবহার করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাক-কনুই দিয়ে বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখলে এটি সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কম। ব্যবহƒত টিস্যু তাৎক্ষণিক নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিতে হবে। ঠান্ডা লেগেছে বা জ্বরের লক্ষণ আছে, এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। 

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে