কভিড রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হলে বা কোনো কারণে অবনতি হলে তার প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য কয়েকটি টেস্টের পরামর্শ দেয়া হয়।
সিবিসি: রোগীর শরীরে যে কোনো সংক্রমণ দেখার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি টেস্ট প্রোফাইল। ব্লাড সেল বা রক্ত কণিকার কাউন্ট বা সংখ্যা দেখা হয়। রক্তের কণিকা কোন পর্যায়ে আছে সেটি বোঝা হয়।
সিআরপি: শরীরে কোনো চলমান সংক্রমণ আছে কি না, সেটি বোঝার জন্য চিকিৎসকরা এ টেস্টের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি) পরীক্ষা হƒদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি নির্ধারণেও সাহায্য করতে পারে।
প্রোক্যালসিটোনিন: রোগীর অবস্থা অনেক সময় দ্রুত খারাপ হয়ে যায় মারাত্মক সংক্রমণের কারণে। জীবনকে হুমকিতে ফেলে এমন মারাত্মক ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বোঝার জন্য এ টেস্ট করা হয়।
ফেরেটিন: রক্তে আয়রনের মাত্রা দেখা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখার জন্য এ টেস্ট করা হয়। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের একপর্যায়ে আয়রন ঘাটতি তৈরি হয়। সে জন্য চিকিৎসক এ টেস্টটি দিয়ে থাকেন।
আরবিএস : কারও শরীরে ডায়াবেটিস আছে কি না বা রক্তে সুগার লেভেল জানা যায়।
এস ক্রিয়েটিনিন: ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নির্ণয় করলে বোঝা যায় কভিড রোগীদের কিডনি কতখানি কর্মক্ষম আছে।
ডি-ডাইমার: রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি মাপার আরেকটি একক হলো ডি-ডাইমার নামের একটি প্রোটিন। কভিড রোগীর দেহে এই স্তর ৬০, ৭০ বা ৮০ হাজার পর্যন্ত উঠতে দেখা গেছে। রক্তে জমাট বাঁধছে কি না, সেটি বোঝার জন্য এ টেস্ট।
এইচআর সিটি স্ক্যান: ফুসফুসের অবস্থা দেখার জন্য এটি করা হয়। রোগীর করোনা পরীক্ষায় দেখা গেল তিনি করোনামুক্ত, কিন্তু উপসর্গ রয়েছে। পরে তাকে এইচআর সিটি স্ক্যান করানো হলে দেখা গেল, তার নিউমোনিয়ার সুস্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে। বুকের এক্স-রের মাধ্যমেও প্রাথমিকভাবে ফুসফুসে সংক্রমণ আছে কি না দেখা যায়।
এবিজি: রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। রক্তচাপ ও হার্টরেট দেখার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
আইএল-৬: ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা বোঝার জন্য এ টেস্টটি করা হয়। এর মাধ্যমে ফুসফুস কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হলো, তা চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন।
ডা. সাজ্জাদ হোসেন
কনসালট্যান্ট, আইসিইউ, কভিড ইউনিট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় �_NyB܍r