নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৯৩ জন। গতকাল বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত দুই হাজার ২৯৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ জন হলো। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ছয় হাজার ৬৭৫ জনে দাঁড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই হাজার ৫১৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে তিন লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে চার লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৬ নভেম্বর তা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ছয় কোটি ৩২ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৪ লাখ ৬৯ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৫০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ২০২টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ আর নারী ১৪ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, সাতজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, দুজন করে মোট চারজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ২৩ জন ঢাকা বিভাগের, পাঁচজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন করে মোট তিনজন রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ছয় হাজার ৬৭৫ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ১১৬ জনই পুরুষ এবং এক হাজার ৫৫৯ জন নারী। তাদের মধ্যে তিন হাজার ৫৫০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও এক হাজার ৭৪৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮০৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৪৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৪৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩২ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে তিন হাজার ৫৮৮ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ২৬২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪০৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৯৮ জন খুলনা বিভাগের, ২১৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৬৬ জন সিলেট বিভাগের, ৩০১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৩৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।