কভিড-১৯, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ভাইরাস জ্বর

গতকালের পর

জটিলতা: ডেঙ্গু ও কভিড-১৯-আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর হালকা অসুস্থতা থাকে এবং তারা বাড়িতে চিকিৎসা নিতে পারে। লক্ষণগুলো সাধারণত কয়েক দিন স্থায়ী হয় এবং এক সপ্তাহ পর রোগী আরও ভালো বোধ করে। তবে অনেকে এই দুই রোগে আবার মারাত্মক অসুস্থতার দিকে চলে যেতে পারে, ফলে মৃত্যুও হতে পারে।

গুরুতর রোগ বা জটিলতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা হলেনÑগর্ভবতী নারী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক মানুষ, দীর্ঘস্থায়ী রোগী (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগ, কিডনি, লিভার রোগ) এবং ইমিউনোসাপ্রেসিভ অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত (যেমন এইচআইভি/এইডস, কেমোথেরাপি বা স্টেরয়েড গ্রহণ, ক্যানসার)।

যেকোনো বয়সের যেকোনো ব্যক্তি ডেঙ্গু বা কভিড-১৯-এ গুরুতর অসুস্থতায় আক্রান্ত হতে পারে। উভয় সংক্রমণ ছাড়াও মৌসুমি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায়ও এসব রোগীর জটিলতার আশঙ্কা বেশি থাকে।

ডেঙ্গুর গুরুতর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে অবিরাম বমি-বমি ভাব, শ্লেষ্মাজনিত রক্তপাত, শ্বাস নিতে অসুবিধা, অলসতা/অস্থিরতা, পাকস্থলীর অম্লতা, লিভার বৃদ্ধি ও রক্তচাপ কমে যাওয়া, শক প্রভৃতি।

অন্যদিকে কভিড-১৯-এর গুরুতর লক্ষণগুলোর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অবিরাম বুকে ব্যথা বা চাপ, নতুন বিভ্রান্তি, জাগতে বা জেগে থাকতে অক্ষমতা, ঠোঁট বা মুখ নীল হয়ে যাওয়া অন্যতম। মনে রাখতে হবে, পরীক্ষার ফলাফল আসার আগেই ডেঙ্গু ও কভিড উভয়ই জটিল হতে পারে। তাই প্রারম্ভিক চিকিৎসা ক্লিনিক্যাল ধারণার ওপর নির্ভর করেই শুরু করা উচিত।

যখন চিকিৎসক দেখাতে হবে: বেশিরভাগ ভাইরাস জ্বর নিজ থেকেই এক বা দুই দিনের মধ্যেই সেরে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাস জ্বরে চিন্তার তেমন কিছু থাকে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক হয় এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। জ্বর ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

জ্বর যদি ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) বা তার বেশি না থাকে, কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ধরে কিংবা তিন দিনের বেশি তাপমাত্রা থাকে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসককে দেখানো বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। [চলবে]

অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন

সাবেক পরিচালক, ঢাকা শিশু হাসপাতাল

সভাপতি, বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০