নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ জনের শরীরে কভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যাদের ২৯ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। বাকি দুজনের মধ্যে একজন কক্সবাজার এবং একজন দিনাজপুরের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ওই সময়ে চার হাজার ১২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ৩১ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের দিন কভিডে ২৯ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৬২৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় কভিডে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৭১ জন কভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ তিন হাজার ৭৫১ জন সেরে উঠলেন।
মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে কভিডের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হন।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে কভিডে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬২ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ১৪ লাখ।