কভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রতিদিনপরিবর্তন হচ্ছে

নভেল করোনাভাইরাস (এনকভ-১৯) মহামারি বিশ্বব্যাপী ভীতিকর ও অনিশ্চিত এক পরিস্থতি তৈরি করেছে। অনেক অভিভাবক জানতে চাইছেন, কবে আসবে কভিড-১৯-এর টিকা? এই মহামারির সময়ে সন্তানের নিয়মিত টিকা নেওয়ারই বা কী হবে? এখানে আমরা এই সাধারণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি।

বিশ্বের বিজ্ঞানীরাই প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে টিকা আবিষ্কারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কিছু টিকা পর্যায়ক্রমে তৈরির পর্যায়েও রয়েছে; তবে সেগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে দুটি। করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে বিজ্ঞানীরা তাদের সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ইবোলা ও সার্স ভাইরাসের টিকা তৈরির অভিজ্ঞতা তারা মাথায় রাখছেন। যদি তারা এতে সফল হন, তবে এটাই হবে ইতিহাসে প্রথম দ্রুততম সময়ে কোনো ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার ও পরীক্ষার ঘটনা।

গবেষকরা অবশ্য মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতি কমিয়ে আনা এবং ফলে রোগীর যে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তা প্রশমনে কার্যকর ওষুধের সন্ধান করছেন। কিন্তু নতুন এই রোগের চিকিৎসায় মানবদেহে কোনো ওষুধ প্রয়োগের আগে তার কার্যকারিতা ও রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

কভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও কি আমার সন্তানকে নিয়মিত টিকা দেওয়া উচিত? কভিড-১৯ আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন ব্যাহত করলেও, এই প্রশ্নের এক কথায় উত্তর হলো, হ্যাঁ। যেখানে সেবাটি মিলছে সেখান থেকে আপনার সন্তানকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করুন। শিশু ও নবজাতককে সঠিক সময়ে তাদের টিকাগুলো দিয়ে ফেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ওইসব টিকা তাদের জটিল রোগ থেকে রক্ষা করে। এর অর্থ হলো, শিশু যখন অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করতে যাবে, তখন কিছু রোগের সংক্রমণ থেকে তারা সুরক্ষিত থাকবে।

কোথা থেকে টিকা নেবেন আপনি যদি তা না জানেন অথবা টিকাদান কার্যক্রম যদি চালু না থাকে, তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর শরণাপন্ন হোন। কারণ কভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে এবং আপনি দেখবেন, আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেবা প্রদান পদ্ধতিও বদলে ফেলছেন। আপনার শিশুর নির্ধারিত পরবর্তী টিকা নিতে আপনি যদি ক্লিনিকে যেতে না পারেন, তবে এই সেবা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চেষ্টা করার জন্য কোথাও একটি নোট লিখে রাখুন।

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০