নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে সরবরাহ বাড়ছে শীতের মৌসুমি সবজি। দামও কমেছে বেশ খানিকটা। পাশাপাশি নাগালের মধ্যে এসেছে পেঁয়াজের দামও। আর প্রায় সব ধরনের মাছের দামও স্বাভাবিক রয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারে ফুলকপি প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০, মুলা ২৫-৩০, শিম ৩০-৪০, দেশি বেগুন ৫০, বড় জাতের বেগুন ৪০, টমেটো ৪০-৫০, গাজর ৪০-৫০, চিচিঙ্গা ৩৫-৪০, শসা ২৫-৩০, বরবটি ৩৫-৪০, ঝিঙা ৩০, তিতকরলা ৪০, ঢেঁড়শ ৩০, লাউ ৩৫-৪০, শালগম ৪০, নতুন আলু ৩০, কাঁচামরিচ ৪০-৪৫, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালশাক, পালংশাক ও মুলাশাক এক আঁটি ১৫-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আসা সবজি ক্রেতা রাসেল বলেন, সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে আশানুরূপ কমেনি। এ সময়ে শাকসবজির দাম যতটা কমা দরকার ততটা কমেনি। প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর এখনও বাড়তি মনে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম এখনও সাধারণ ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে আসেনি।
দাম কমার বিষয়ে মিরপুর-২ নম্বর এর সবজি ব্যবসায়ী সোলাইমান বলেন, এখন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দামও কমেছে। তবে সবজির দর নির্ভর করে মাল সরবরাহের ওপর, মাল কম হলে দাম বাড়ে। এখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে।
মাছের বাজারে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে রূপচাঁদা ৬২০ টাকা, লাল কোরাল ৪০০, চিংড়ি ৪০০-৬০০, পুকুরের কই ৩৫০, পাঙাশ ১১০-১২০, সরপুঁটি ২৫০-৩০০ থেকে, দেশি রুই মাছ ২২০-২৫০, কাতল ২০০-২২০, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে বেড়েছে ব্রয়লার, লেয়ার ও দেশি মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৪০ টাকা, সোনালি ২৫০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০-৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম পাইকারিতে প্রতি ডজন ৯০-৯৫ টাকা, খুচরায় ১০০-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের মতো চিনির সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। চিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি কেজি চিনিতে ৪-৬ টাকা দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এর প্রভাব বাজারে পড়তে পারে। প্রতি কেজি আমদানিকৃত চিনি খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা।
খুচরা বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ টাকা, পাকিস্তানি ১২০, মিসরের পেঁয়াজ ৮০-৯০ ও তুরস্কের পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমায় টিসিবির পেঁয়াজের চাহিদা অনেক কমে গেছে। ফলে টিসিবি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমিয়ে ৩৫ টাকা করেছে। এর পরও টিসিবির পেঁয়াজে ক্রেতাদের আগ্রহ কম।