Print Date & Time : 29 June 2025 Sunday 12:36 am

কমার্শিয়াল ফ্লোর স্পেস কিনছে ই-জেনারেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি খাতের কোম্পানি ই-জেনারেশন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কমার্শিয়াল স্পেস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি রাজধানীর বাড্ডা, কুড়িলে অবস্থিত প্রগতি সরণির মেইন রোডের র‌্যাংকস বিজনেস সেন্টারের ১০তম তলায় পাঁচ হাজার ৩১৫ বর্গফুটের (টাইপ-এ ও বি) স্পেস কিনছে। ফ্লোর স্পেসের সঙ্গে চারটি কার পার্কিং (৪৫৬ বর্গফুট) এর স্পেসও থাকবে। আর এই ফ্লোর স্পেস কেনার জন্য কোম্পানিটির মোট আট কোটি এক লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে। কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ফান্ড থেকে এ অর্থের জোগান দেয়া হবে। 

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ই-জেনারেশন। আর প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৮৬ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১ পয়সা ৯ (লোকসান)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৬১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৯৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে তিন পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৭৮ শতাংশ বা এক টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা। ওইদিন পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ৯৪৯টি শেয়ার মোট ৬৯৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি তিন লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৫৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৫৭ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৫ টাকা থেকে ৫৭ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এন’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট সাত কোটি ৫০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩০ দশমিক ৫৭, বিদেশি শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।