Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:11 am

কমিয়ে ফেলুন কোলেস্টেরল

শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া-বিক্রিয়ার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলো কোলেস্টেরল। প্রাণীর মস্তিষ্কের প্রায় পুরোটাই কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি। তাহলে কোলেস্টেরলকে খারাপ দ্রব্যের তালিকায় রাখা হয় কেন? কোলেস্টেরল স্বাভাবিক মাত্রায় রক্তে থাকলে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলেই শরীরে যত ঝক্কি-ঝামেলা দেখা দেয়। লিপিড প্রোফাইল, অর্থাৎ কোলেস্টেরল, হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এইচডিএল, লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডসÑএগুলো হলো আমাদের শরীরের বা রক্তের চর্বি বা কোলেস্টেরলের মাপকাঠি। সবার উচিত বয়স ৩০ হলে অথবা পরিবার বা বংশে যদি অল্প বয়সে কেউ হƒদরোগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়, তাহলে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করা।

ভালো বনাম খারাপ কোলেস্টেরল: রক্তনালির দেয়ালে জীবন্ত কোষের অবিরাম ভাঙা-গড়া চলতে থাকে। সুস্থ মানুষের শরীরে এই ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে ভারসাম্য বজায় থাকে। কোষের এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ায় এইচডিএল কোলেস্টেরল রক্তনালি রক্ষায় পজিটিভ ভূমিকা পালন করে। এজন্য একে গুড কোলেস্টেরল বলা হয়ে থাকে। আর এলডিএল কোলেস্টেরল, বিশেষ করে পরিবর্তিত অক্সিডাইজড এলডিএল রক্তনালির দেয়ালে একধরনের প্রদাহ সৃষ্টি করে। ধীরে ধীরে এই প্রদাহের ফলে রক্তনালির গায়ে চর্বির দলা বা প্লাক গড়ে উঠে রক্তনালিকে সরু করে ফেলে এবং রক্তের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। সাধারণ মানুষ এটাকে ব্লক বলে থাকেন। কোনো ব্লক যখন ধমনির ৭০ শতাংশ অংশ সরু করে দেয়, তখন অল্প পরিশ্রমে বুকে ব্যথা, চাপ, শ্বাসকষ্ট বা ধড়ফড় শুরু হয়ে যায়। চিকিৎসার ভাষায় এটাকে বলে অ্যানজাইনা।

যেভাবে কোলেস্টেরল রক্তনালিতে ব্লক তৈরি করে: মানবদেহের লিভার বা যকৃৎ হলো চর্বি বানানোর কারখানা। ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি, অ্যালকোহল পান, বাড়তি ওজন, আলসে জীবনবৃত্তিÑএসব কারণে লিভারের কোষের রিসেপ্টরে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে অতিরিক্ত মন্দ এলডিএল কোলেস্টেরল রক্তে ভাসতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে, বিশেষ করে হার্ট ও ব্রেইনের রক্তনালির দেয়ালে তখন সেই চর্বির দলা জমে জমে ব্লক তৈরি হয়।

(বাকি অংশ আগামীকাল)

সারমিন আরা

পুষ্টিবিদ