মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: দীর্ঘদিন ভালো অবস্থানে থাকার পর বিমা খাতে এখন দর সংশোধন চলছে। প্রায় প্রতিদিনই কমছে এ খাতে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে দু’দিন দর বাড়লেও তা স্থায়ী হতে পারেনি। আবারও দর পতনের ধারায় ফিরে গেছে এ খাত। গতকালও খাতটিতে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
গতকালের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সকাল থেকেই নি¤œমুখী ছিল এই খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর, যা সারা দিন অব্যাহত ছিল। যার জের ধরে দিন শেষে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। পাশাপাশি মোট লেনদেনে অবদান আগের চেয়ে অনেক কমে যায়। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ৩০ শতাংশ। তবে গতকালও বেশ ভালো অবস্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড। দিন শেষে মোট লেনদেন এ খাতের অংশগ্রহণ চোখে পড়ে ১৩ শতাংশ। একইভাবে ওষুধ ও রসায়ন খাতের অবদান ছিল ১৪ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনে অন্য কোনো খাত সাত শতাংশের বেশি অবদান রাখতে পারেনি।
এদিকে গতকাল তুলনামূলকভাবে বেশি পরিশোধিত মূলধন থাকা কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়তে দেখা গেছে। এ ধরনের কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল বেশি। গতকাল প্রায় ৫২ শতাংশ বিনিয়োগকারীর আগ্রহ ছিল ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে এসব কোম্পানির শেয়ারে।
অন্যদিকে গতকাল কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল ডিএসইর সূচক। দিন শেষে সূচক বাড়তে দেখা যায় চার পয়েন্ট। সূচক স্থির হতে দেখা যায়, চার হাজার ৯২৮ পয়েন্টে। পাশাপাশি লেনদেনও আগের চেয়ে বাড়তে দেখা যায়। গতকাল ডিএসইতে মোট ৮৮১ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা।
এদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটে সাড়ে ৪৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে অংশগ্রহণ করে ২৮টি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ৮২ লাখ ৯২ হাজার ৭৯টি শেয়ার ৫৫ বার হাত বদল হয়। এর মধ্যে মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার গ্রামীণফোন এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ছয় কোটি ৬২ লাখ ২৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনেটার।