কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অগ্রগতি জানতে চায় বিএসইসি

আতাউর রহমান: কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত মাসিকভিত্তিক অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সিএসইকে জানিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে বিষয়টি সিএসইর চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের গত ১২ এপ্রিল সিএসই এবং এমসিএক্স অব ইন্ডিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অনুচ্ছেদ ৪(সি) অনুসারে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত সব মাইলফলক সম্পন্ন করার জন্য ৯ মাসের একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিএসইর বিগত ৪ মাসের কাজের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। এছাড়া এখন থেকে মাস শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে মাসিক ভিত্তিতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্যও অনুরোধ করা হলো।

তথ্য মতে, সিএসইর পক্ষ থেকে পাট, তুলা, স্বর্ণ, আলু, পেঁয়াজ, চা ইত্যাদি পণ্যের মধ্য থেকে এক বা একাধিক পণ্য কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কেনাবেচার করা যায় কি না সে বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। একটি কেন্দ্রীভূত বাজারের সঙ্গে পণ্য ব্যবসা ও ভোক্তাদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংগঠিত ও স্বচ্ছ বাজার সিন্ডিকেট ও দামের কারসাজি কমাতে এ ধরনের এক্সচেঞ্জ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।

সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনের বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই পূর্ব অভিজ্ঞতা। তাই এ বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এমসিএক্স পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেয় সিএসই। তবে বিভিন্ন কারণে সিএসইর এমসিএক্স পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি। তবে আলোচনার মাধ্যমে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনের বিষয়ে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে সিএসই।

আগামী অক্টোবরের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে সিএসই ভারতের এমসিএক্স পরিদর্শন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এমসিএক্সের একটি প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তারা দেশের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করবে বলে সিএসই সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করার আগে স্টোরেজ মেকানিজম ও ম্যানেজমেন্ট, ডেলিভারি সিস্টেম, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট সিস্টেম, হিউম্যান রিসোর্সসহ, বাজার স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করছে সিএসই। এসব বিষয়ে সিএসইকে পরামর্শ প্রদান করছে ভারতের এমসিএক্স।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক শেয়ার বিজকে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি এ বছরের কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কাজ সম্পন্ন হবে এবং চালু করতে পারব। আগামী ৫ বা ৬ সেপ্টেম্বরে এমসিএক্সের একটি প্রতিনিধি বাংলাদেশে সফরে আসছে। তারা দেশের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনার মাধ্যমে পণ্য নির্দিষ্ট করা হবে এবং রুলস ও রেগুলেসন তৈরি করা হবে এবং সেসব কিছুর তথ্য বিএসইসিতে জমা দেয়া হবে। এরপর বিএসইসি থেকে অনুমোদন দেয়ার পর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর কাজ শুরু করা হবে। সিএসই থেকে অক্টোবরে ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০