কম্বোডিয়ার যে পরিণতি হয়েছে বাংলাদেশে তা হবে না: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন ইস্যুতে কম্বোডিয়ায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিএনপির খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে এমন হবে না।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপিকে তার জন্য ভুগতে হবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, নির্বাচন আয়োজনে কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করছে, কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে না বা সংঘাত চায় না। আওয়ামী লীগ যখন শোকের মাসের কর্মসূচি দিতে যায়, বিএনপি ও কিছু মিডিয়া এটাকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বলে। মূলত আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না। যাদের জনসমর্থন নেই, তারাই সংঘাত চায়।

কাদের দাবি করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ কষ্টে থাকলেও জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। ৭০ শতাংশ জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। জনগণের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। ২০০৯-পূর্ববর্তী এবং ২০০৯-পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে। শেখ হাসিনা এটাকে পরিবর্তন করেছেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সতর্ক থাকবে। কেউ সংঘাত করতে এলে প্রতিহত করা হবে। বিএনপি খালি মাঠ পেলে সংঘাত করতে চাইবে। আমরা সেই সুযোগ দেব না। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী নয়, অস্ত্রশক্তিতে বিশ্বাসী। এরশাদ কিংবা জিয়া কেউই জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেননি, কারণ তাদের জনগণের ওপর আস্থা নেই। বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তাদের অবস্থা কী হবে। নির্বাচনে বিএনপিকে জয়ের নিশ্চয়তা না দিলে তারা নির্বাচনের প্রতি আস্থাশীল হবে না।

কাদের বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিসহ সব শক্তিকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা করব। আর ছাড় নয়, পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দেব না, তাদের হাতে দেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন কিছুই নিরাপদ নয়। দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লড়াই করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শোকের মাসের মর্যাদা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, যেকোনো দিবস বা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি থেকে দূরে থাকতে হবে। শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ-সম্পাদক, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও ঢাকার স্থানীয় দলীয় সংসদ সদস্যরা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০