Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 10:36 am

কম পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে ঝোঁক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে পুঁজিবাজার। এই অবস্থায় বাজারে ফিরে আসছেন নতুন ও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা। এর জের ধরে বাড়ছে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট ও শেয়ারদর। তবে এই সুযোগে বাড়ছে তুলনামূলকভাবে কম পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারদর। এই ধরনের কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

সম্প্রতি বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রথম দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল বেশি পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে। কিছুদিন আগেও ১০০ কোটি থেকে ২০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে ঝোঁক ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ বিনিয়োগকারীর। বর্তমানে সেই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকেছেন কম পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে।

গতকালের বাজারচিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এদিন বিনিয়োগকারীদের বেশি আগ্রহ ছিল ৩০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার মধ্যে পরিশোধিত মূলধন, এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারে। সারা দিনই এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারে বেশি আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। তবে এ ধরনের বিনিয়োগে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। কম পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন কিছু কোম্পানি রয়েছে, যাদের শেয়ারসংখ্যা খুবই কম। এর মধ্যে কিছু কোম্পানির আর্থিক অবস্থাও খুব দুর্বল। সম্প্রতি এ ধরনের বেশকিছু কোম্পানির শেয়ারদর কারণ ছাড়াই বাড়ছে। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত এ ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি হিসাবি হওয়া।

এদিকে গতকালের বাজার থেকে মুনাফা তুলতে দেখা গেছে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীকে, যে কারণে সকাল থেকেই তারা বিক্রয় আদেশ বাড়াতে থাকেন। বেশি বিক্রয় আদেশ দেখে ক্রেতারাও কম দরে শেয়ার কেনার প্রতি আগ্রহ দেখান, যে কারণে দর কমতে থাকে। এর জের ধরে দিন শেষে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৫৬টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়তে দেখা যায় ১৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। পক্ষান্তরে দর কমে ১৭৫টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের।

অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমতে দেখা গেছে। দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ১৪৮ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৩৯ কোটি টাকা।