নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফা আগের চেয়ে কমে গেছে। এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ অনিরীক্ষি। আর মুনাফা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের কাছে এসব কোম্পানির শেয়ারের চাহিদাও কমে গেছে। ফলে সব মিলিয়ে কমেছে লেনদেন ও সূচক। যে কারণে সার্বিক পুঁজিবাজারের চিত্র পাল্টে গেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি পঞ্জিকা বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ১৮৪টি কোম্পানি তাদের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৮৪টি কোম্পানিরই মুনাফা কমেছে এবং ৩৬টি কোম্পানি লোকসান দিয়েছে। অবশিষ্ট ৬৪টির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আগের বছরের তুলনায় ওষুধ ও রসায়ন, তথ্য ও প্রযুক্তি, বিবিধ এবং টেলিযোগাযোগ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির নিট মুনাফা বা ইপিএস বেড়েছে। কমেছে সিমেন্ট এবং কাগজ ও প্রকাশনা খাতের অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফা। এ ছাড়া বস্ত্র, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, সিরামিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, প্রকৌশল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতসহ অন্য খাতগুলোর বেশিরভাগ কোম্পানির মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।
বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব বিনিয়োগকারী বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করেন, তারা সব সময় সংবেদনশীল তথ্যের ওপর নির্ভর করেন। সে কারণে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কম হলে বা অন্য কোনো নেতিবাচক খবর এলে তারা ওইসব কোম্পানি থেকে বেরিয়ে যেতে চান। যার ফলে বেশিরভাগ সময় এসব কোম্পানির শেয়ারদর কমে যায়।
এ প্রসঙ্গে ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘মুনাফা কমে গেলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়। কারণ রিটার্ন প্রাপ্তির বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটির লাভ-লোকসানের ওপর নির্ভর করে।’
একই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসই’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোম্পানির মুনাফা কমে যাওয়ায় বাজারের পতন হচ্ছে বা সূচক কমে যাচ্ছেÑ এটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ করেন না। তারা অন্যের কথায় বা গুজবে কান দিয়েই লেনদেন করতে অভ্যস্ত। সে কারণে এটাই একমাত্র কারণ তা বলা যায় না।’