শেয়ার বিজ ডেস্ক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশ কয়লা বিদ্যুৎকে পরিহার করে সবুজ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে এগোচ্ছে। কারণ কয়লা বিদ্যুৎ কখনও টেকসই উন্নয়ন নয়। সরকার উপকূল, চর, হাওর, পাহাড় ও বরেন্দ্র অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে বিপদাপন্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য বিশেষ করে পাহাড়, ছড়া, নদী-নালাকে সংরক্ষণ করে উন্নয়নকে আমরা অভিযোজন করছি।
সিলেটে জলবায়ুবিষয়ক এক সংলাপের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার নগরীর এক হোটেলে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ যৌথভাবে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনকে (কপ২৬) ঘিরে জলবায়ু সুবিচার সম্মেলনের আয়োজন করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা কারও দান-খয়রাতের আশায় বসে নেই। তবে আমরা যে কোনো দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মর্যাদাভিত্তিক অংশীদারিত্ব বিনির্মাণে প্রস্তুত। তরুণরা আরও সাহস নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্ন করতে হবে, জলবায়ু তহবিলের টাকা কোথায় যায়? কেন দুর্নীতি হয়? এতে আমরা চাপের মধ্যে থাকব এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জুডিথ হার্বার্টসন ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আকমল শরীফ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান ও জলবায়ুকর্মী হুমায়রা আহমেদ জেবা। মূল তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার- হিউম্যানিটিরিয়ান ও রেজিলিয়েন্স মইন উদ্দীন আহমেদ।
সংলাপে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে দুই শতাধিক নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, তরুণ সম্প্রদায় ও জলবায়ু কর্মীরা কপ২৬ সম্মেলনকে নিয়ে তাদের প্রত্যাশা ও প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।