কয়লা সংকটে আবারও বন্ধ হলো রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক:কয়লা সংকটে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। গতকাল রাত সাড়ে ৩টা থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মূলত ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আবার উৎপাদন শুরু হবে।

এর আগে কয়লা সংকটের কারণে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ও ২৩ এপ্রিল রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রথমবার কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় প্রায় এক মাস বন্ধ ছিল কেন্দ্রটি। আর দ্বিতীয় দফায় প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ ছিল। যদিও ১৫ এপ্রিল রাত থেকে তিন দিন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন।

এরপর ৩০ জুন কেন্দ্রটি দ্বিতীয় দফা বন্ধ হয়েছে কারিগরি ত্রুটির কারণে। সেবার চালু হতে ১০ দিনের বেশি লাগে। যদিও চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ১৬ জুলাই আবার কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয় রামপাল। এরপর এক সপ্তাহ ধরে চললেও কয়লা সংকটে পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন চালু ছিল না। এর মধ্যে গতকাল রাতে আবারও কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে কেন্দ্রটি।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাতা বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা সংকটের কারণে রোববার ভোর সাড়ে ৩টা থেকে প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আমদানির জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ৮ আগস্ট কয়লা এসে পৌঁছালে আবার উৎপাদনে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

যদিও বারবার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সচেতন মহল।

সূত্রমতে, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা কেনার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ডলার সংকটের কারণে চাহিদামতো কখনোই কয়লা আমদানি করতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

প্রসঙ্গত, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের জাতীয় তাপবিদ্যুৎ করপোরেশনের (এনটিপিসি) ৫০ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের ঠিকাদার কোম্পানি ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল)। এটি নির্মাণে এক শতাংশ সুদে ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। আর এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা করে ইক্যুইটি বিনিয়োগ করেছে পিডিবি ও এনটিপিসি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০