Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 5:18 am

 ‘কয়েকটি দেশের গম আসছে বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউক্রেন-রাশিয়ার বাজার বন্ধ থাকায় কানাডাসহ অন্য দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা গম আনা শুরু করেছেন। গমের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গমের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এটা নিয়ে আমাদের এক বড় ব্যবসায়ী বললেন, তার একটি জাহাজ তুরস্কে আটকে ছিল। সেটা রওনা হয়েছে। সেখানে ৫৫ হাজার টন গম রয়েছে। অর্থাৎ গমেরও সরবরাহ ঠিক হয়ে যাবে। তবে ইউক্রেন হলো আমাদের প্রধান সরবরাহকারী দেশ। সেখান থেকে আনতে পারলে গমের বাজার স্থিতিশীল হবে। তবে এখন দাম বেশি পড়লেও দেশের ঘাটতি মেটাতে কানাডা থেকে এনে দেয়ার চেষ্টা করছি। অনেক ব্যবসায়ী কমিটমেন্ট করেছেন, তাদের যা প্রয়োজন তা আনতে পারবেন।

টিপু মুনশি বলেন, গম আমাদের যে পরিমাণ আমদানির কথা ছিল, সেখানে একটু ঘাটতি দেখছি। ইউক্রেন-রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে গম সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে আমাদের ব্যবসায়ীরা এই বাজারে সমস্যার জন্য অন্য বাজার থেকে গম কেনা শুরু করেছেন। যদিও দাম একটু বেশি পড়ছে। কানাডা থেকে আসছে, তাদের মানও ভালো। এই বাজারটা স্বাভাবিক হলে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না। আর কোনো বড় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। 

গত দুই-তিন দিনে ডালের দাম প্রায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছেÑএ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন টিসিবির মধ্যে আমাদের নির্ধারিত দামেই দিচ্ছি। ডালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। সে কারণে হয়তো দাম কিছুটা বাড়তে পারে। ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে দেখবে, যে দাম বাড়িয়েছে সেটা যৌক্তিক কিনা তারা দেখবে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার প্রভাব এখানে এসে পড়েছে।

সভায় রড সিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও একটু ডিটেইলে যেতে হবে। বিশ্ববাজারে দাম কমার ফলে আমাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, সেটা আমরা ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পাচ্ছি না। এখন ডলারের দাম যদি কমে তাহলে আমরা ভোক্তাদের সেই সুবিধা দিতে পারব। চলমান অবস্থায় আমাদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই। খাদ্যের যে উৎপাদন সব মিলিয়ে খাদ্যের কোনো সমস্যা হবে না। মানুষের মূল ফোকাস থাকে খাদ্যে, সেটা ঠিক থাকলে কোনো সমস্যা হয় না। অন্যদিকে আপস করা যায়, খাদ্যে আপস করা যায় না।

যানবাহনে যে গ্যাস সরবরাহ করা হয়, সেটা বন্ধ করে শিল্প খাতে দেয়ার কথা বলে আসছেন ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আজকের আলোচনায় এ কথাগুলো এসেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিবেচনায় নেবে। এটা আমাদের দেখার প্রয়োজন নেই। তবে আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত যে, গাড়িতে যতটা প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে, এখন বেসিক রিকোয়ারমেন্টের জন্য প্রয়োজন। যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই। বিদ্যুতের অবস্থা উন্নতি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে আমরা তাদের জানাব।