করপোরেট কর কমানো, ভ্যাট অব্যাহতি চায় নোয়াব

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংবাদপত্রের করপোরেট করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। একই সঙ্গে সংবাদপত্র শিল্পের মূল উপাদান নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, ডিজিটাল সেট আপ বক্স আমদানিতে শুল্ককর অব্যাহতি দেয়া ও বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে ভ্যাট ফাঁকি রোধে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল’স (অ্যাটকো)। গতকাল বিকালে এনবিআর সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এসব দাবি জানানো হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

নোয়াবের নির্বাহী সদস্য মাহফুজ আনাম বলেন, আমাদের এই ব্যবসা সামাজিক সেবাধর্মী। কভিডের সময় আপনারা দেখছেন, এ খাত কীভাবে সমাজের জন্য অবদান রেখেছে। সরকার বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা দিলেও সংবাদপত্র শিল্প একটি টাকাও পায়নি। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে আমরা যেন ছাড় পাই, নইলে বাঁচব না। নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ সংবাদপত্র শিল্পের বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি সমাজ দেশের স্বার্থে সংবাদপত্রের ভূমিকা তুলে ধরে বিশেষ বিবেচনায় শুল্ক কর কমানোর অনুরোধ জানান।

নোয়াবের পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ২(৬০) ধারা অনুসারে সংবাদপত্র একটি শিল্প। আর ২ এপ্রিল ২০১৪ সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেবা শিল্প হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। তৈরি পোশাক শিল্প একটি মুনাফা অর্জনকারী শিল্প হওয়া সত্ত্বেও এর করপোরেট ট্যাক্স ১০ থেকে ১২ শতাংশ। অথচ সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্ত্বেও একে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, অনিবন্ধিত কোম্পানি ও নন-রেসিডেনসিয়াল ক্যাটেগরিতে বাধ্য হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শিল্পের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আর্থিক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো নয়। সেজন্য সংবাদপত্রের করপোরেট ট্যায় ১০ থেকে ১৫ করা জরুরি। আরও বলা হয়, বর্তমানে সংবাদপত্রে মূল কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ইমপোর্ট ডিউটি, ভ্যাট, অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) ও অন্যান্য কর মিলিয়ে ৩৬ শতাংশ পরিশোধ করতে হয়। সেবা শিল্প হিসেবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে, সভায় অ্যাটকোর সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, স্যাটেলাইট টিভি সেবাদানকে ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনতে ডিজিটাল সেট আপ বক্স বসানোর সময় বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু এর যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ককর খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে কোটি কোটি সেট টপ বক্স বসানোর প্রয়োজন হবে, যাতে গ্রাহকেরও খরচ বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এসব যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক-কর থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এতে দীর্ঘমেয়াদে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যমান দ্বৈত কর পরিহার, বিদেশি চ্যানেলের স্থলে দেশীয় টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বাড়াতে এনবিআরকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০