Print Date & Time : 1 July 2025 Tuesday 7:32 pm

করপোরেট কর হ্রাস ছাড়া কোনো সুখবর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পাশাপাশি তার প্রস্তাবে বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের কথা উঠে এসেছে। এছাড়া বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য তেমন কোনো সুখর নেই। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলন নেই ডিএসইর দেওয়া কোনো প্রস্তাবের। সংশ্লিষ্টরা এ বাজেটকে মন্দের ভালো হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে কেউ কেউ বলেছেন, এই উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের বাজারে টানতে ব্যর্থ হবে। সব ধরনের কোম্পানির করহার কমলে তবেই বাজারের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া যেত।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বলেন, অনেকে বলে থাকেন আমাদের করপোরেট করহার খুব বেশি। যা ঠিক নয়। দেশের তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিদ্যমান ২৫ শতাংশ করহার দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তুলনায় কম। তবে ব্যাংক খাতের করহার কিছুটা বেশি হওয়ায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার দুই দশমিক ৫০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করছি। তবে অন্যান্য করহার অপরিবর্তিত থাকবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে রাজস্ব কিছুটা কমলে বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যাবে। বর্তমানে সর্বোচ্চ করহার হবে ৪০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় হারটি হবে ৩৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
বাজেটের আগে ডিএসইর পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী বরাবর কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ তালিকায় রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ সদস্যদের কাছ থেকে লেনদেনের ওপর আদায় করা করহার শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ নির্ধারণ, ডিএসইর বর্তমান ক্রমহ্রাসমান হারে কর অব্যাহতির পরিবর্তে তিন বছরের জন্য পূর্ণ কর অব্যাহতি, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে এক্সচেঞ্জের বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রির বিপরীতে প্রাপ্ত মূলধনি মুনাফার ওপর কর অব্যাহতি, লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকায় উন্নীত করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয়কর ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) কোম্পানির তালিকাভুক্তির পরবর্তী তিন বছর শতভাগ কর অব্যাহতি প্রদান করা।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ভেবেছিলাম বাজেটে আমাদের প্রস্তাবগুলোর প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু এর কোনো প্রতিফলন না ঘটায় আমরা হতাশ। এ বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করা হয়নি। শুধু কিছু কোম্পানিকে করহার কমানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটাকে বিনিয়োগবান্ধব বাজেট বলা যায় না। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, কতিপয় কোম্পানির করহার কমিয়ে বিনিয়োগকারীদের বাজারে টানা যাবে না। তাদের বাজারমুখী করতে হলে সব ধরনের কোম্পানির করহার কমানো দরকার।