Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 5:02 am

করমুক্ত আয়সীমা এখন নয় ভবিষ্যতেও বাড়ানো হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল ২৮ জুন পাস হচ্ছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। সেজন্য আজ পাস হবে অর্থ বিল। বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখাসহ কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর খাতে তেমন পরিবর্তন ছাড়াই বাজেট পাস হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হলেও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, করমুক্ত আয়সীমা এখন বাড়ানো হবে না, ভবিষ্যতেও বাড়ানো হবে না।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের মতো আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির আয় আড়াই লাখ টাকার বেশি হলেই তাকে আয়কর দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বুধবার খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আগামীকাল প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন। অনেকজন অনেক বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো বসে বসে তিনি শুনেছেন, নিশ্চয় এগুলো কাভার করবেন, তাছাড়া তার নিজস্ব মন্তব্যও পাওয়া যাবে। আর জাতীয় সংসদে আগামী ২৮ জুন বাজেট পাস হবে। আর ২৭ জুন পাস হবে অর্থবিল।
অর্থবিল বাজেট পাসের সময় এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, শনি, রোববার আর সভা করতে চাইনি। উদ্দেশ হচ্ছে বাজেটের পর একটু বিরতি রাখা। আমরা বাজেটের প্রথম সেশনে যখন বসি, তখনই এটা আলোচনা হয়েছে। পাস হওয়া বাজেটে কি কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাব এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, না বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন তো হয় না। এখন এ বিষয়ে আমি কাজ করছি। এগুলো খুব বড় কিছু না। করপোরেট ট্যাক্সে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলেও জনান তিনি। তিনি বলেন, করপোরেট ট্যাক্সে পরিবর্তন আনার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
ইন্টারনেটে ভ্যাট কমানোর কোনো উদ্যোগ থাকছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোবাইলে তো আমার প্রস্তাবই অত্যন্ত ভালো। আইসিটির বেশিরভাগ ট্যাক্সই পাঁচ শতাংশ। আর বাকি সব জিরো এ ধরনের। এ বিষয়ে আইসিটি তো খুব সন্তুষ্ট। তবে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমার একটা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আরও কিছু প্রস্তাব ছিল। এগুলো প্রায়ই আমরা সংশোধন করব। এ সব বিষয়ে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার খুবই খুশি। আমরা আশা করছি, যে আইসিটিতে আমরা ইয়াং জেনারেশনকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে পারব।
মুহিত বলেন, কাল আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা তার অভিমত ব্যক্ত করবেন। জানি না আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) বক্তব্য দেবেন কি-না, কিছু বলবেন কি-না। নাও বলতে পারেন। আর আমি একটা বক্তৃতা দেব প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পরে। মোটামুটিভাবে এ যে ১৯ দিন আলোচনা হয়েছে, ১৯ দিন আলোচনার ফলে এ সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম যেসব মন্তব্য করেছে, ব্যবসায়ী সমিতি, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে বিভিন্ন ফোরামে যেসব মন্তব্য ও পরামর্শ আছে ও এসেছে, সেগুলোর ওপর নির্ভর করে প্রস্তাব কিছুটা পরিবর্তিত ও কিছুটা একেবারেই নতুন, সেগুলো কালকেই আমরা জানিয়ে দেব। বিকেলে আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
সংসদে বিরোধী দলের আলোচনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সংসদে একটি জিনিস বেশ লক্ষ্য করেছি, আমার বেখাপ্পা মনে হয়েছে। বিরোধী দল, যারা সরকারে আছে, পার্টনার, তাদের মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বাজেট সভায় বসে বাজেট পাস করেছেন। তাদের অনেকের মন্তব্য দারুণ রকমের উগ্র। এটা যথাযথ নয় বলে আমার মনে হয়। হ্যাঁ, বিরোধী দল হিসেবে তাদের একটা ভূমিকা রাখা প্রয়োজন, কিন্তু এর সঙ্গে এটা মনে রাখা উচিত, বিরোধী দল হলেও আপনারা কোয়ালিশনের একটা অংশ। এটা বক্তারা ভুলে যান।