করমুক্ত সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দুই চেম্বারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো ও করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। গতকাল  সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় চেম্বারের প্রতিনিধিরা পৃথক এসব প্রস্তাব করেন। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতিত্ব করেন।

ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ২৭ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন; যা আমাদের মতো অর্থনীতির জন্য খুবই অপ্রতুল। এমন বাস্তবতায় আগামী ১০ বছরে করদাতার সংখ্যা কমপক্ষে ৮০ লাখে উন্নীত করতে এনবিআরকে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি দেশের কর ও শুল্ক ব্যবস্থাকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ব্যবসা পরিচালনায় আঞ্চলিক সক্ষমতা অর্জনের পাশাপাশি দেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে করপোরেট করের হার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেন, যেটি বর্তমানে রয়েছে যথাক্রমে সাড়ে ২২ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া করপোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ করের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণের আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি, যা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পুনঃবিনিয়োগে উৎসাহিত করবে এবং পুঁজিবাজারকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

রিজওয়ান রাহমান ভ্যাটের আওতাবহির্ভূত ব্যবসায়ের বার্ষিক টার্নওভারে ঊর্ধ্বসীমা ৩ কোটি টাকা হতে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেন। সেই সঙ্গে পণ্যের মূল্য সংযোজন অথবা মুনাফা অনুপাতে টার্নওভারের ওপর ট্যাক্স আরোপের দাবি জানান। এ ছাড়া চামড়াজাত পণ্য এবং পাদুকা শিল্প খাতের বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্তির দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস করা ও তৈরি পোশাক শিল্প খাতের ন্যায় বন্ড লাইসেন্স প্রতি ৩ বছরের জন্য নবায়ন সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করেন। ডিসিসিআই সভাপতি ইলেকট্রিকাল ভেহিকেল চার্জিং স্টেশন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ দেশীয়ভাবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি প্রদানের আহ্বান জানান, এতে করে দেশে একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব অটোমোবাইল শিল্প গড়ে ওঠবে।

অন্যদিকে, বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, বাংলাদেশের করপোরেট করহার আশপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। আগামী অর্থবছর আরও আড়াই শতাংশ হারে কমিয়ে আনা হলে সরকারের ওপর চাপ কম পড়বে। দেশে বিনিয়োগ বাড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। শিল্প ক্ষেত্রে মূসক ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি। শিল্প খাত রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং আমদানি হ্রাসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে দেশের অর্থনীতিতে অধিক ভূমিকা রাখে বিধায় মাইক্রো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতের জন্য করপোরেট কর ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০