করোনাভাইরাসের কারণে ভাইবারের গ্রুপ কলে দ্বিগুণ সদস্য

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ মহামারির রূপ নিয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় কোয়ারেন্টাইন। অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন থাকলে রোগের প্রকোপ কমে আসে। বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিষ্ঠান তাই কর্মীদের ঘরে বসে প্রতিদিনের কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছে। সঙ্গত কারণে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলার পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে যোগাযোগ সুবিধা দিতে মেসেজিং অ্যাপ রাকুটেন ভাইবার তাদের গ্রুপ কলে অংশগ্রহণকারীর (সদস্য) সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। নতুন এ পদ্ধতি চালু করার ফলে ২০ জন ব্যবহারকারী এক সঙ্গে গ্রুপ কলে অংশ নিতে পারবে।

বড় ধরনের জমায়েতে কভিড-১৯ সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠান সহজে কাজ চালিয়ে নিতে কিংবা সমস্যা সমাধানের জন্য ভিডিও কলের সেশন করতে পারবে। সরাসরি মিটিংয়ের ঝুঁকি এড়াতে গ্রুপ কল এখন পর্যন্ত সেরা মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।

ভাইবারের চিফ অপারেটিং অফিসার অফির ইয়াল বলেন, এ প্রতিকূল সময়ে এক জায়গায় সবার সরাসরি উপস্থিত না হওয়াটাই উত্তম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনেকে দূরে নিরাপদ জায়গায় বসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মানুষ যেন সুরক্ষিত স্থান ও নিরাপদ পরিবেশে তাদের আপনজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে ও তাদের প্রতিদিনের কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ভাইবারে সহজে ফাইল বিনিময় করা যায়। ফলে সহকর্মী ও ব্যবসায়িক অংশীদাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ও প্রেজেন্টেশন একে অপরকে পাঠাতে পারে। ২০০ মেগাবাইট পর্যন্ত ফাইল সরাসরি এ অ্যাপে শেয়ার করা যাবে। বড় আকারের ফাইল শেয়ারের জন্য, ব্যবহারকারীরা ভাইবার চ্যাটের ক্লাউড সার্ভিসে সহজে লিংক শেয়ার করতে পারবে।

ভাইবারের ডেস্কটপ সংস্করণেও চ্যাট ও কল করা যায়। উপরন্তু এতে রয়েছে কুল স্ক্রিন শেয়ারিং ফিচার। ফলে ব্যবহারকারী কম্পিউটার স্ক্রিনে যা করছেন তা অন্যদের সঙ্গে বিনিময় করতে পারবেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০