ক্রীড়া প্রতিবেদক: প্রতিদিনই করোনাভাইরাসের কালো থাবায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। এ দুঃসংবাদ আর যেন শুনতে হয়, সে জন্য বেশিরভাগ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন অর্থ দিয়ে সাহায্য করছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অনেকেই এরই মধ্যে এগিয়ে এসেছেন। দেশের জাতীয় ক্রিকেটাররাও হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবার তাদের দেখানো পথে হাঁটলেন প্রথম শেণির ৯১ ক্রিকেটার। এরই মধ্যে জানা হয়ে গেছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা বোর্ডের কাছ থেকে মাসিক ভাতা পান, সেই ৯১ জন তাদের এক মাসের বেতনের অর্ধেক টাকা করোনা ফান্ডে দেবেন। ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল এরই মধ্যে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার কোয়াব যে তথ্য দিয়েছে সেখানে ঐ ৯১ ক্রিকেটারের দান করা অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা নেই। এ বিষয়ে কোয়াবের করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব দেবব্রত পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘যেহেতু ৯১ ক্রিকেটারের বেতন এক কাঠামোতে না, তিন ক্যাটাগরিতে। তাই আমরা জানি না আসলে কার বেতন কত? সবার মাসিক মূল বেতনের পরিমাণ জানা গেলে, তখন বলা যাবে আসলে কত টাকা হয়েছে।’ তবে একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা ৯১ ক্রিকেটারদের এক মাসের বেতনের অর্ধেক পরিমাণ টাকার অঙ্ক হলো ৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৫। তারা এই অর্থ দান করছেন কোয়াবের করোনা ফান্ডে।
বিসিবি থেকে তিন ক্যাটাগরিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা ৯১ ক্রিকেটারকে মাসিক ভাতা দেয়। যারা বেশিদিন ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন তাদের মাসিক বেতন ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা। আর যারা জাতীয় লিগ খেলতে শুরু করেছেন, তাদের বেতন ২৩ হাজার ৭৫০ টাকা। আর জুনিয়র ক্যাটাগরির বেতন হলো ১৭ হাজার ২৫০ টাকা। এবার সেই তারাই করোনা মোকাবিলায় নিজেদের এক মাসের বেতনের অর্ধেক অর্থ দান করেছেন। এরআগে বিসিবির সঙ্গে চুক্তিতে থাকা ২৭ ক্রিকেটার করোনা ফান্ডে দিয়েছিল ৩০ লাখ টাকা।
Attachments area