নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ৩৩ জন। এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৪৭১ জন মারা গেলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৯৯৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হলেন দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫৩৫ জন এবং এখন পর্যন্ত এক লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন সুস্থ হয়েছেন।
গতকাল বেলা আড়াইটায় কভিড-১৯-সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সর্বশেষ এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৩১৭টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৪ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩২ শতাংশ।
বুলেটিনে তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে আছেন ২৮ পুরুষ ও পাঁচ নারী। এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭৪৯ পুরুষ ও ৭২২ নারী মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া মানুষের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, রাজশাহীতে পাঁচজন, খুলনায় তিনজন, ময়মনসিংহে একজন ও রংপুরে চারজন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাড়িতে তিনজন মারা গেছেন।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮৬৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৫৮৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৮৫ জন ছাড়া পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৪৫ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে দুই হাজার ৮৮৪ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৫৫৯ জন এবং এখন পর্যন্ত চার লাখ ৫৭ হাজার ২৫৮ জন ছাড়া পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে চার লাখ চার হাজার ৮০১ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫২ হাজার ৮০৭ জন।
