করোনায় আর্থিক ধসের কবলে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি

শোবিজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। এ ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হলিউড, বলিউড, টালিউড ও ঢালিউডের শুটিং। ফলে বিশ্বজুড়ে বিনোদন জগতে বড় আর্থিক ধসের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রযোজক, পরিচালক ও কলাকুশলীরা। সিনেমা, ওয়েব সিরিজ কিংবা ধারাবাহিক যাবতীয় শুটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় একাধিক বিগ বাজেটের সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ায় বড় লোকসানের মুখে বিনোদনশিল্প। কারণ, করোনা-আতঙ্কে এখন সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সেখানে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা তো অনেক দূরের কথা। তাই করোনার প্রভাব পড়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও। ৬ মার্চ মুক্তি পায় টাইগার শ্রফ ও শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত ‘বাঘি থ্রি’। প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির মোট আয় মাত্র ৯০ কোটি টাকা। অন্যদিকে মুক্তি পায় ইরফান খান অভিনীত ‘আংরেজি মিডিয়াম’। এ সিনেমাটি তিন দিনে আয় করে মাত্র ৯ কোটি টাকা। সিনেমা হলগুলো বন্ধ হওয়ায় ভালো ব্যবসা করতে পারছে না ইরফান খান অভিনীত সিনেমাটি। এরই মধ্যে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এদিকে সূর্যবংশী, উধম সিং, নো টাইম টু ডাই, ফার্স্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস নাইন ও ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে গেছে। এছাড়া বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হাজারো স্পটবয়, লাইট অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেট-শিল্পী আছেন। তারা রোজ আট ঘণ্টার শিফট হিসেবে পারিশ্রমিক পান। মূলত তারা কাজ করলে টাকা পান, না করলে নয়। ফলে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারাই। এ সম্পর্কে বলিউড সিনেমার বিশ্লেষক বিশেক চৌহান বলেন, আমার জীবনে এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি। সবকিছুই এখন বন্ধ। ভারতে প্রতি মাসে কমপক্ষে এক হাজার কোটি রুপির ক্ষতি হবে। প্রেক্ষগৃহ বন্ধ থাকায় সিনেমা মুক্তি নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সিনেমা মুক্তি এক মাস অথবা এর বেশি পিছিয়ে যেতে পারে। এতে করে নির্মাতাদের সুদও দিতে হবে। যদি এক শতাংশ করেও সুদ দিতে হয়, তবে প্রতি মাসে এ অঙ্কটি অনেক বড়। করোনার ধাক্কা টালিউডেও। দেব, জিৎসহ একাধিক তারকার সিনেমার শুটিং বাতিল হয়েছে। পিছিয়েছে সিনেমার মুক্তি। ফলে অগ্রিম টাকা দিয়ে লোকেশন বুক করেও বাতিল হয় শুটিং। টালিউডও অর্থনৈতিক ধাক্কার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। এদিকে করোনার আতঙ্ক ঢালিউডেও লেগেছে। নতুন সিনেমাগুলোর মুক্তি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের পর দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সিনেমা হলগুলোতেও। এ কারণে নতুন সিনেমা মুক্তি দেওয়া থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন প্রযোজক ও পরিচালকরা। এ সম্পর্কে চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন করোনার আতঙ্ক। বাংলাদেশেও এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যে কারণে নতুন সিনেমাগুলো মুক্তি দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০