করোনায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়াদের পাশে দাঁড়ান

করোনা ভাইরাস ২০২০ সালে বিশ্ববাসীকে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিপতিত করে। এ অতিমারির কারণে এক দিকে দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হয়েছেন, অন্যদিকে অতি ধনীরা আরও বেশি ধনী হয়েছেন। বিশ্বব্যাপীই এমন চিত্র লক্ষণীয়। তবে কল্যাণ রাষ্ট্র ও আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এমনভাবে কর ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে, সেখানে বেশি আয় করলে বেশি কর পরিশোধ করতেই হবে। তাছাড়া ওইসব দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রম অত্যন্ত শক্তিশালী। ফলে ওইসব দেশের পক্ষে করোনার অভিঘাত প্রতিরোধ করা আমাদের মতো দেশের তুলনায় সহজ। তবে আমার মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল অর্থনীতির দেশে মানুষ সহজেই ভঙ্গুর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। করোনাকালে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এবং জীবন-ধারণের জন্য তারা ব্যাপক মাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। করোনাকালে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়া এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো সরকারের একান্ত কর্তব্য বলে মনে করি।

দৈনিক শেয়ার বিজে গতকাল ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জরিপ: করোনায় টিকে থাকতে ঋণ নিয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, করোনাকালে সাধারণ মানুষ তাদের জীবন ধারণের ক্ষেত্রে এক ধরনের হাবুডুবু খাচ্ছেন। তারা নতুন করে অতিমাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। আগের ঋণ পরিশোধ করার জন্য এসব জনগোষ্ঠীকে নতুন করে ঋণ নিতে হচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লিখিত ভাষ্য মতে, ঋণের টাকার এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যপণ্য কেনাকাটায়, এক-চতুর্থাংশ আগের ঋণ পরিশোধে এবং কিছু অংশ ওষুধ কেনা ও চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য খরচ করা হয়েছে। ঋণ নেয়ার উৎস হচ্ছে মহাজন, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব। ঋণের পাশাপাশি কম খেয়ে, জমা টাকা থেকে ব্যয় করে এবং কম টাকায় শ্রমে যুক্ত হয়ে টিকে থাকার লড়াই চালিয়েছেন প্রান্তিক মানুষ।

এ ধরনের বিবরণ একপ্রকার হƒদয় বিদারক। সাধারণ যে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন, তা এই প্রতিবেদন থেকেই বোঝা যায়। করোনাকালে বড় উদ্যোক্তারা বড় বড় ঋণ পেয়েছেন। বড় ঋণগ্রহীতারাও ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় ছাড় পেয়েছেন। রপ্তানিকারকরাও নানা সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কাছে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনার সুফল ঠিকমতো পৌঁছেনি। তা ছাড়া হতদরিদ্র্য, সাধারণ দরিদ্র্য ও করোনার কারণে নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়া মানুষের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তাও যথেষ্ট নয়। অথচ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কাজেই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের একান্ত কর্তব্য বলে মনে করি। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুরবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করা মানুষের জীবনে সচ্ছলতা আনার ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

করোনায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়াদের পাশে দাঁড়ান

করোনা ভাইরাস ২০২০ সালে বিশ্ববাসীকে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিপতিত করে। এ অতিমারির কারণে এক দিকে দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হয়েছেন, অন্যদিকে অতি ধনীরা আরও বেশি ধনী হয়েছেন। বিশ্বব্যাপীই এমন চিত্র লক্ষণীয়। তবে কল্যাণ রাষ্ট্র ও আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এমনভাবে কর ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে, সেখানে বেশি আয় করলে বেশি কর পরিশোধ করতেই হবে। তাছাড়া ওইসব দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রম অত্যন্ত শক্তিশালী। ফলে ওইসব দেশের পক্ষে করোনার অভিঘাত প্রতিরোধ করা আমাদের মতো দেশের তুলনায় সহজ। তবে আমার মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল অর্থনীতির দেশে মানুষ সহজেই ভঙ্গুর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। করোনাকালে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এবং জীবন-ধারণের জন্য তারা ব্যাপক মাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। করোনাকালে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়া এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো সরকারের একান্ত কর্তব্য বলে মনে করি।

দৈনিক শেয়ার বিজে গতকাল ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জরিপ: করোনায় টিকে থাকতে ঋণ নিয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, করোনাকালে সাধারণ মানুষ তাদের জীবন ধারণের ক্ষেত্রে এক ধরনের হাবুডুবু খাচ্ছেন। তারা নতুন করে অতিমাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। আগের ঋণ পরিশোধ করার জন্য এসব জনগোষ্ঠীকে নতুন করে ঋণ নিতে হচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লিখিত ভাষ্য মতে, ঋণের টাকার এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যপণ্য কেনাকাটায়, এক-চতুর্থাংশ আগের ঋণ পরিশোধে এবং কিছু অংশ ওষুধ কেনা ও চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য খরচ করা হয়েছে। ঋণ নেয়ার উৎস হচ্ছে মহাজন, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব। ঋণের পাশাপাশি কম খেয়ে, জমা টাকা থেকে ব্যয় করে এবং কম টাকায় শ্রমে যুক্ত হয়ে টিকে থাকার লড়াই চালিয়েছেন প্রান্তিক মানুষ।

এ ধরনের বিবরণ একপ্রকার হƒদয় বিদারক। সাধারণ যে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন, তা এই প্রতিবেদন থেকেই বোঝা যায়। করোনাকালে বড় উদ্যোক্তারা বড় বড় ঋণ পেয়েছেন। বড় ঋণগ্রহীতারাও ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় ছাড় পেয়েছেন। রপ্তানিকারকরাও নানা সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কাছে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনার সুফল ঠিকমতো পৌঁছেনি। তা ছাড়া হতদরিদ্র্য, সাধারণ দরিদ্র্য ও করোনার কারণে নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়া মানুষের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তাও যথেষ্ট নয়। অথচ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কাজেই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের একান্ত কর্তব্য বলে মনে করি। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুরবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করা মানুষের জীবনে সচ্ছলতা আনার ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০