নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমপর্যায় ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মারা গেলে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫০ লাখ টাকা পাবেন। একইসঙ্গে ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারা সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকে তার অন্য কোনো দায়-দেনার সঙ্গে উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ সমন্বয় করা যাবে না।
গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডি বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী, স্বামী, সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা, মাকে নির্দিষ্ট হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ক্ষতিপূরণের পরিমাণের বিষয়ে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান থেকে শুরু করে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা, ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমমান থেকে ধাপ-১-এর পূর্ব পর্যন্ত পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ধাপ-৩ স্টাফ ও সাব-স্টাফদের (যে কোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগকৃত ও নিয়োজিত) ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকে তার অন্য কোনো দায়-দেনার সঙ্গে উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ সমন্বয় করা যাবে না। এ ক্ষতিপূরণ বর্তমানে প্রচলিত অন্য যে কোনো প্রজ্ঞাপন, আদেশ ও নীতিমালায় বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে।
এ সার্কুলার লেটারের নির্দেশনা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির তারিখ অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।