শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে শিগগিরই বাজারে আসছে মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট। গবেষকরা বলছেন, এ ওষুধের ব্যবহার হাসপাতালে ভর্তি কিংবা মৃত্যুঝুঁকি ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। যুক্তরাষ্ট্রের মের্ক ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস এ ওষুধ বাজারে আনতে যাচ্ছে। জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক অনুমদিত হলে এটি হবে করোনা প্রতিরোধী মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধ। খবর: সিএনএন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মের্ক ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস এ তথ্য জানিয়েছে।
গবেষকরা দাবি করছেন, এটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে ভালো ফল দেখিয়েছে। মের্ক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষ যত শিগগিরই সম্ভব এফডিএ’র সঙ্গে কথা বলবে। এ বিষয়ে মের্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস বলেন, আমরা পরিকল্পনা করছি অন্য দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুমোদনের জন্য। ডেভিস বলেন, আমরা ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে না, বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মোলনুপিরাভির হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে, যাদের পাঁচ বা তার কম দিনের জন্য উপসর্গ রয়েছে এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
আগামী নভেম্বরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডেভিস। গবেষণা শেষে স্বাধীন কমিটির অনুমোদনের পর এবং এফডিএর সঙ্গে সমন্বয় করে এটি বাজারে আনার কথাও জানান তিনি।
ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আগস্টের শুরু থেকে ৭৭৫ রোগীর ওপর এ গবেষণাটি চালানো হচ্ছে। ডেভিস আরও বলেন, এটি অধিকতর গবেষণার জন্য আরও এক হাজার ৫৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় এবং এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ রাজি হয়েছেন।
বিবৃতিতে ডেভিস বলেন, বছর শেষে এক কোটি উৎপাদন করার ব্যাপারে আশাবাদী তারা, যেটি ২০২২ সালে আরও বাড়বে। সপ্তাহের শুরুতে মের্ক গবেষণার আরও তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে দাবি করে যে, এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও কার্যকর।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে করোনা প্রতিরোধী ভ্যাক্সিন (টিকা) আবিষ্কার করেছে বেশ কয়েকটি কোম্পানি, যা দুই ডোজ দিতে হবে। তবে উন্নত দেশগুলো বৃদ্ধদের জন্য বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিয়েছে, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার দাবি আফ্রিকার অর্ধেকের বেশি দেশ এখনও দুই শতাংশ টিকাও পায়নি।