শোবিজ ডেস্ক: ৯ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৯২তম অস্কার পুরস্কারের অনুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে ২৪ শাখায় দেওয়া হবে এ পুরস্কার। প্রতি বছর বেইজিংভিত্তিক চীনা সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে অস্কারের জমকালো অনুষ্ঠান। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এবার চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে বাতিল করা হয়েছে এ সম্প্রচার।
গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি চীনের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বের অন্তত ১৬ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৫৯ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে আরও ১১ হাজারের বেশি। এখন অস্কার নিয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশের বদলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যস্ত করোনাভাইরাস নিয়ে। এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় হুমকির মুখে পুরো বিশ্ব। তাই চীন থেকে সাংবাদিকরা এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চীনের মিডিয়াগুলো এখন করোনাভাইরাসের খবর প্রচারে বেশি ব্যস্ত। বিনোদনের খবর প্রচারের আগ্রহ নেই তাদের। অনেক সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিনেমা চীনের হলগুলোয় মুক্তি দেওয়া হতো। সেগুলো এখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অস্কারে মনোনীত সিনেমা জোজো জা বিট, লিটল ওমেন, ম্যারেজ স্টোরি এবং ১৯১৭ প্রভৃতি সিনেমা ফেব্রæয়ারিতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল চীনের হলগুলোয়। সেগুলো এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। অন্যদিকে এ ভাইরাসের আতঙ্কজনক সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে অনেক সিনেমা। যদিও আগে থেকেই হলিউডের সিনেমায় এ ধরনের ঘটনা দর্শক দেখেছে। যেখানে ভাইরাসকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে সিনেমার গল্প। উল্লিখিত কয়েকটি সিনেমা: ১৯৯৫ সালে জার্মান পরিচালক উলফগ্যাং পিটারসনের ‘আউটব্রেক’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। সিনেমাটি বেশ সারা ফেলে। এতে অভিনয় করেন ডাস্টিন হফম্যান, রেনে রুশো, মরগান ফ্রিম্যান, কিউবা গুডিং প্রমুখ। আফ্রিকার দেশ জায়ারে অনেকটা ইবোলার মতো প্রাণঘাতী এক ভাইরাস ‘মোতাবা’ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেই ভাইরাস আমেরিকার ছোট্ট এক শহরে সংক্রমিত হয়। ২০১৩ সালে মুক্তি পায় সিনেমা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড’। নরঘাতক এক ধরনের ভাইরাস নিয়ে নির্মিত হয় সিনেমাটি। এতে অভিনয় করেন ব্র্যাড পিটসহ আরও অনেকে। হলিউডের উইল স্মিথ অভিনীত ২০০৭ সালে সিনেমা ‘আই অ্যাম লিজেন্ড’ মুক্তি পায়। এতে ভাইরোলজিস্টের চরিত্রে অভিনয় করেন স্মিথ। সেখানে দেখানো হয়, বেশ কবছর আগে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের বেশিরভাগ মানুষ মারা যায়, বাকিরা পরিণত হয় দানবে। একমাত্র বেঁচে থাকা মানুষ স্মিথ এ থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে থাকে। এভাবেই এগিয়ে যায় সিনেমার গল্প। ২০০২ সালে ড্যানি বয়েল পরিচালিত সিনেমা ‘টোয়েন্টি এইট ডেজ লেটার’ মুক্তি পায়। সিনেমাটিতে দেখানো হয়, অসাবধানতাবশত উš§ুক্ত হওয়া একটি ভাইরাস কীভাবে পুরো সভ্যতাকে ধ্বংস করতে শুরু করে। সিনেমাটি প্রশংসার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সাফল্যও পায়। ২০০৭ সালে এর সিকুয়েল ‘টোয়েন্টি এইট উইকস লেটার’ মুক্তি পায়। এছাড়া বøাইন্ডনেস, ম্যাগি, ডুমস ডে, ক্যারিয়ারস, প্যানডামিক ও রেসিডেন্ট ইভিল সিরিজের অ্যাপোক্লিপস, এক্সটিংশন, আফটার লাইফ, রিট্রিবিউশন এবং সর্বশেষ দ্য ফাইনাল চ্যাপ্টার মুক্তি পায়।