শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) সহযোগিতায় অ্যাকশনএইড বাংলাদেশে তার লোকাল রাইটস প্রোগ্রামের (এলআরপি) আওতায় খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের প্রান্তিক ও অরক্ষিত যৌনকর্মী এবং অ্যাসিড সারভাইভরসদের মাল্টি-পারপাস ক্যাশ গ্র্যান্ট (এমপিসিজি) দেবে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সম্প্রতি ঢাকার ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে উভয় প্রতিষ্ঠান এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ইবিএলের হেড অব কমিউনিকেশনস অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স জিয়াউল করিম; হেড অব বিজনেস ইনফরমেশন সিস্টেম মো. মাসকুর রেজা; হেড অব কমপ্রায়েন্স, এএমএলডি এবং ডেপুটি ক্যামিলকো মো. শাহজাহান আলী; হেড অব ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট মেজর মো. আবদুস সালাম, পিএসসি (অব.) এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, হেড অব ফাইন্যান্স মো. রফিকুল ইসলাম, হেড অব ফান্ড রেইজিং মারুফ মোহাম্মদ সেহাব চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাগেরহাট সদর, মোংলা এবং খুলনা সদরের ১২৯ জন যৌনকর্মী যারা কভিড অতিমারিকালে দেশের সেফটি নেট বরাদ্দের আওতায় আসতে পারেননি তাদের এ অনুদান দেয়া হবে। সাতক্ষীরা জেলার ৭১ জন অ্যাসিড সারভাইভরস, যাদের আগে দৈনিক আয়ের উৎস ছিল কিন্তু বর্তমানে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদেরও সহায়তা দেয়া হবে। অ্যাকশনএইডের অ্যাসিড সারভাইভরস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুদান দেয়া হবে। রাজশাহীর সাপাহারের অত্যন্ত অরক্ষিত ৪৩০টি পরিবার অ্যাকশনএইডের লোকাল রাইট প্রোগ্রামের অধীনে অনুদান পাবে।
মিনিমাম এক্সপেন্ডিচার বাস্কেট (এমইপি) বিবেচনায় নিয়ে মাল্টি পারপাস ক্যাশ গ্রান্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এমপিসিজির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪ সপ্তাহের জন্য তিন হাজার টাকা। এমইপিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে খাদ্য, ওষুধ, হাইজিন ও পারসোনাল কেয়ার, জ্বালানি, যোগাযোগ ইত্যাদি।