ক্রীড়া প্রতিবেদক: এ বছরের জুনে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের থাবায় শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল অজিদের এ সফর। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
করোনার কারণে এরআগে স্থগিত হয়েছিল বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড সফর। তবে জুনে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়ে আশাবাদী ছিল টিম টাইগার্স। কিন্তু করোনার কারণে মুশফিকুর রহিমদের সে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার আসার কথা ছিল জুনের প্রথম সপ্তাহে। এরপর ১১ জুন চট্টগ্রামে শুরু হওয়ার কথা ছিল দুই টেস্টের প্রথমটি। ঢাকা টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৯ জুন। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবেই টেস্ট দুটি খেলার কথা ছিল দুই দলের। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে জুনের সিরিজটা স্থগিত করতে বাধ্যই হয়েছে আয়োজক বিসিবি। এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা খেলোয়াড়, সমর্থক ও দুই দলের জন্যই হতাশার। কোভিড-১৯ মহামারি রূপ নেওয়ায় এখন যে বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, সেটি বিবেচনায় নিয়ে বিসিবি ও সিএ (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে এটাই এখন সবচেয়ে সুবুদ্ধিপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। আশা করি শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আমরা আশা করি, নিকট ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে সিরিজটা আয়োজন করতে পারব। অস্ট্রেলিয়া বোর্ড আগেও আমাদের সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও সিএর সঙ্গে কাজ করে যাবে বিসিবি।’
এদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস বলেছেন, ‘আমরা জানি বৈশ্বিক ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারটা খুব ব্যস্ত। আমরা সবই করার চেষ্টা করব যাতে বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে সম্মান জানানো হয়।আলোচনার ভিত্তিতে একটি তারিখ ঠিক করে সে অনুযায়ী কাজ করব।’
করোনার কারণে আপাতত স্থগিত হলেও বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার এ সিরিজ মাঠে গড়াতে পারে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে। এমনটাই বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান।