নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: কভিড-১৯-এর প্রভাবে মানুষের জীবন ও জীবিকায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছে। কর্মহীন এসব মানুষের মধ্যে ৬৫ শতাংশই দিন মজুর; এছাড়া ১২ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক, ১১ দশমিক ৭ শতাংশ ছোট ব্যবসায়ী, ৩ দশমিক ৪ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
‘জনজীবনে কভিড-১৯-এর প্রভাব: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক মিডিয়া ডায়ালগে এই জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়। ইপসার বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ডায়ালগটি আয়োজন করে দৈনিক পূর্বকোণ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। উপস্থিত ছিলেনÑচট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান তাজুল ইসলাম, দৈনিক পূর্বকোণের স্টাফ রিপোর্টার এসএম ইফতেখারুল ইসলাম, ইমাম হোসাইন রাজু, অ্যাকশনএইডের কোরবান আলী, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার শোভন চৌধুরী প্রমুখ।
ইপসার উপপরিচালক নাছিম বানু শ্যামলীর সঞ্চালনায় আলোচনায় জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা ইদ্রিস। জরিপে তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, নগরীর ১৯ ও ৩৫ নম্বর দুটি ওয়ার্ডের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। খাদ্য সহায়তা, খাদ্যবণ্টনে অনিয়ম, বাজার ব্যবস্থাপনা, পারিবারিক সহিংসতা ও নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার চিত্র উঠে এসেছে জরিপে। জরিপে প্রাপ্ত তথ্য মতে, করোনার প্রভাবে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মসংস্থানমুখী মানুষ দক্ষতা অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
জরিপে এ দুই ওয়ার্ডের অসংখ্য মানুষের থেকে মতামত গ্রহণ করা হয়। মতামত প্রদানকালে ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ খাদ্য বা আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কথা জানান। কিন্তু ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ জানান, তাদের এলাকার লোকজন কোনো উৎস থেকে খাদ্য সহায়তা পাননি।