করোনার প্রভাব কান চলচ্চিত্র উৎসব ও হলিউডে

শোবিজ ডেস্ক: বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম জমকালো আয়োজন কান চলচ্চিত্র উৎসব। প্রতি বছর ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের শহর কানে বসে বিশ্ব চলচ্চিত্রের মর্যাদাপূর্ণ এ উৎসব। সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মিলনমেলা বসে এ উৎসবে। বিখ্যাত প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পদচারণায় মুখর হয় কান শহর। কিন্তু এবার বিষাধের ঘণ্টা বাজিয়েছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক করোনাভাইরাস। এটি এখন আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ভাইরাসের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ফ্র্যান্সেও। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য ফ্র্যান্সের বিখ্যাত কানস শহরে একজনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসব। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কান উৎসব আয়োজকরা। আগামী ১২ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত উৎসবটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে উৎসবের একজন মুখপাত্র বলেন, করোনাভাইরাসের উপদ্রবে এ বছর উৎসব বাতিল হবে কিনা এখনও বলা যাচ্ছে না। কান উৎসব কর্তৃপক্ষ নিবিড়ভাবে এটি পর্যবেক্ষণ করছে। এখনও আড়াই মাস বাকি উৎসবের। তিনি আরও বলেন, উৎসবে প্রয়োজনীয় সব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ব্যবস্থাই থাকবে। এদিকে হলিউডেও পড়েছে করোনার প্রভাব। প্রডাকশন এবং বক্স অফিসে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হলিউড নির্মাতারা। মিশন ইমপসিবল সিনেমার কাজ থামিয়ে রাখা হয়েছে করোনার কারণে। এ সিনেমার শেষ তিন সপ্তাহের শুটিং হওয়ার কথা ছিল ইতালির ভেনিসে। কিন্তু ইতালিতে সম্প্রতি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় শুটিং স্থগিত করা হয়েছে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। ধারণা করা হচ্ছে এতে সিনেমার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে যাবে। বেড়ে যাবে প্রডাকশনের খরচ। এছাড়া অনেক সিনেমার প্রিমিয়ার শোতেও প্রভাব ফেলছে। জেমস বন্ড মুভির প্রিমিয়ার হওয়ার কথা ছিল চীনে। কিন্তু সে পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। হলিউড সিনেমার জন্য অনেক লাভজনক মার্কেট চীন। করোনাভাইরাসের কারণে দেশটির সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে হলিউড সিনেমাগুলোর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই ঘটনা ঘটেছে দ্য অ্যামেজিং রেস ক্ষেত্রেও। এ কাজও থেমে আছে। নিরাপত্তার খাতিরে এ রিয়্যালিটি শো এর কাজ বন্ধ আছে। এর প্রতিযোগীরা স্কটল্যান্ড থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসটি চীনের উহান শহর থেকে এখন বিশ্বের প্রায় ৫০টির বেশি দেশে সংক্রামক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় তিন হাজারের অধিক মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজারের বেশি। রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন অনেকেই।