শোবিজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঢালিউডের নতুন সিনেমাগুলোর মুক্তি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশে করোনায় আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্তের পর দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সিনেমা হলগুলোতেও। এ কারণে নতুন সিনেমা মুক্তি দেওয়া থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন প্রযোজক ও পরিচালকরা। এ সম্পর্কে চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন করোনার আতঙ্ক। বাংলাদেশেও এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যে কারণে নতুন সিনেমাগুলো মুক্তি দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সবার আগে মানুষের জীবন। যেহেতু ভাইরাসটি ছোঁয়াচে, তাই জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। আর সিনেমা হল হচ্ছে জনসমাগমের একটি স্থান, যে স্থানটি এড়িয়ে চলা আবশ্যক। তিনি আরও বলেন, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমাটি আগামী ১৩ মার্চ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তির তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সিনেমার মুক্তি বাতিল করেছেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। আগামী ২০ মার্চ দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ সিনেমা মুক্তির ঘোষণা ছিল। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হাতে যেহেতু কিছুটা সময় আছে, তাই অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে করোনাভাইরাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে মুক্তির তারিখ পেছানো হবে। সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ডিপজল-মৌসুমী অভিনীত সিনেমা ‘সৌভাগ্য’। এটি পরিচালনা করেছেন এফআই মানিক। তবে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে না শিগগিরইÑএমনটিই জানিয়েছেন পরিচালক। এদিকে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, চলচ্চিত্রশিল্পের অবস্থা এমনিতেই বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির অবস্থায় রয়েছে। এরপর আবার দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় দর্শক আতঙ্কিত হয়ে সিনেমা হলে আসার সাহস পাচ্ছেন না। কারণ, যেখানে জনসমাগম হয়, সেখানেই করোনার ঝুঁকি বেশি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এতে চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীরা অনিশ্চিত অবস্থায় পড়েছেন। করোনার খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে প্রযোজক, সিনেমা হল মালিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সঙ্গে এমন অবস্থায় করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য অনবরত যোগাযোগ করছেন। শিগগিরই চলচ্চিত্রের সবার সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক কর্মকর্তা মিয়া আলাউদ্দীন বলেন, করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে সব সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় সিনেমা হলের মতো জনসমাগমের অন্যতম একটি স্থানে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বেÑএটি স্বাভাবিক। কারণ, সিনেমা হলে দিনে চার থেকে পাঁচটি শো’তে জনসমাগম হয়। এ অবস্থায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
