ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী

করোনার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পদক্ষেপে অর্থনীতির ধারা অব্যাহত রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক পদক্ষেপের কারণে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের ধারা ধরে রাখা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদানকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা জানান।

টিপু মুনশি বলেন, তৈরি পোশাক খাত আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ায় কভিড-১৯-এর মতো মহামারির মধ্যেও এ খাতটি এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং আগের অবস্থানে চলে এসেছে। এ সেক্টর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনার  পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্রও সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়। গত বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। তিনদিন আগে থেকেই পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লাভ, আমদানিকারকদের কমিশনসহ সব খরচ যোগ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় আট থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে এ ঘাটতি দেখা দেয়। যার ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু এখন তাদের দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আজকে কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭ রুপি, অর্থাৎ বাংলাদেশি ৫৫ টাকায়। তার মানে আলু-পেঁয়াজের দাম আমাদের দেশেও বেড়েছে, তাদের দেশেও বেড়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বাজারে ভারতের পেঁয়াজের নির্ভরতা বেড়েছে। এখন তাদের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত আগে থেকে আমাদের কিছু বলেনি, হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে। গতবার থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি, এবার সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তেমন অস্থিরতা হয়নি।

অর্থনীতি বিটের প্রতিবেদকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বলছি আমদানি পেঁয়াজ ৫৫ টাকার নিচে বিক্রি করা যাবে না। এখন আপনাদের অনুসন্ধান করতে হবে এটা আসলেই সঠিক দাম কি না। আপনাদের সেই তথ্যই আগামী দিনের বাজার শিথিলতায় কাজ করবে।

এশিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কে ফয়সাল বিন সিরাজ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ বিষয়ে যারা রিপোর্ট করেন তাদের অবদান রয়েছে। এজন্য অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের মানোন্নয়ে যা যা দরকার এশিয়া ফাউন্ডেশন সে লক্ষ্যে কাজ করবে।

ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম, ইআরএফের সাবেক সভাপতি শামসুল হক জাহিদ, ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ জুরি বোর্ডের সমন্বয়ক সিরাজুল কাদির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় ইআরএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০