Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:44 pm

করোনায় রোজগার হ্রাসের শীর্ষে রেস্তোরাঁ কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস রোগ কোভিড-১৯ এর কারণে জনজীবন স্থবির। থমকে গেছে অর্থনীতির চাকা। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন পেশার মানুষের। ফলে স্বাভাবিক সময়ে যারা মোটামুটি খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারেন, এই মহামারিকালে তারা মহাসঙ্কটে পড়েছেন।

রোজগার বন্ধ হওয়া বা রোজগার কমে যাওয়ার ফলে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। করোনাকালে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপোশার মানুষের জীবন-জীবিকার হাল-চাল জানতে গবেষণা পরিচালনা করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। গবেষণায় জানা যায়, করোনাকালে অধিকাংশ শ্রেণি-পোশার মানুসেল রোজগার করেছে। তবে রোজগার হ্রাস পাওয়াদের শীর্ষে রয়েছে রেস্তোরাঁ কর্মীরা।

গবেষণাটি পরিচালনায় মূলত বিআইজিডির পূর্বের গবেষণার ডাটাবেজের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের দরিদ্রদের থেকে পৃথকভাবে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, খুলনা ও বরিশালের শহাঞ্চলের দরিদ্র্য মানুষদের অবস্থা জানতে এসব শহরের বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

পাশাপাশি ৬৪ জেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে কোন পেশার মানুষের রোজগার কি হার কমেছে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

জরিপের তথ্য মতে, করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি রোজগার কমেছে রেস্তোরাঁ কর্মীদের। তাদের রোজগার কমেছে ৯৯ শতাংশ। রোজগার কমার ক্ষেত্রে এর পরের অবস্থানে আছে ভাঙারি ওয়ার্কাররা। তাদের রোজগার কমেছে ৮৮ শতাংশ। রিকশা চালকদের আয় কমেছে ৮৪ শতাংশ। দিনমজুর ও শিল্পী সমাজের আয় কমেছে ৮৩ শতাংশ। মালি ও কারখানা কর্মীদের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ।

এছাড়া দক্ষ শ্রমকিদের ৭৯ শতাংশ, কৃষি শ্রমিকদের ৭৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ৭৩ শতাংশ, দোকান/সেলুন/পার্লারের রোজগার কমেছে ৭২ শতাংশ। পোশাক কর্মীদের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ, কৃষকের ৪৪ শতাংশ, পিয়ন ও নিরাপত্তারক্ষীদের ৪৩ শতাংশ, অফিসের আনুষ্ঠানিক কর্মীদের কমেছে ৩৩ শতাংশ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আয় কমেছে ২৭ শতাংশ।